শান্তি রায়চৌধুরী: বলতে গেলে একাই লড়ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু প্রোটিয়া গতিঝড়ের সামনে সেই লড়াইয়ের পরও পুঁজিটা বড় হলো না ভারতের। কেপটাউনে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারিরা।
অথচ টসভাগ্য ভারতের সহায়ই ছিল। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি আর চেতেশ্বর পূজারাকে বাদ দিলে দলের আর কোনো ব্যাটারই টসের সুবিধাটা নিতে পারেননি।
দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল নতুন বলে শুরুটা করেছিলেন বেশ দেখেশুনে। ৩১ রান তুলতে তারা কাটিয়ে দেন ১১.২ ওভার। সেখান থেকে টানা দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। রাহুল ১২ আর আগারওয়াল ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন।
এরপর পূজারাকে নিয়ে কোহলির প্রতিরোধ। ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ভারত। ১৫৩ বলে ৬২ রানের জুটি গড়ে পূজারা মার্কো জানসেনের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। পূজারার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। আজিঙ্কা রাহানেও ৯ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
তবু দ্বিতীয় সেশনটা ভালোই কেটেছিল ভারতের। ৪ উইকেটে ছিল ১৪১ রান। কিন্তু তৃতীয় সেশনে এসে ভারতীয়দের সব লড়াই ভেস্তে দেন রাবাদা-জানসেনরা। ৪ উইকেটে ১৭৫ থেকে ২২৩ তুলতেই শেষ হয় ইনিংস। অর্থাৎ শেষ ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারায় ভারত।
নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের সেরা পারফরমার কোহলি। ২০১ বলে ১২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৭৯ রানের ইনিংস খেলে রাবাদার বলে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন ভারতীয় অধিনায়ক।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কাগিসো রাবাদা, ৭৩ রানে এই পেসারের শিকার ৪ উইকেট। ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন জানসেন।
দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা পড়েছে ১ উইকেটে ১৭, উইকেট নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ।