শান্তি রায়চৌধুরী: স্প্যানিশ লিগের  রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোস এবং বার্সেলোনার লিওনেল মেসির, এই দুজনের লড়াইটা সর্মথকরা দারুণভাবে উপভোগ করেন। কারণ এক সময় দুজনের মধ্যে ছিল দারুন ‘শত্রুতা’। তাদের দুইজনের দীর্ঘদিনের সেই শত্রুতা ঘুচে গেছে ক্লাবের সৌজন্যে। রামোস আর মেসি এখন পিএসজিতে খেলেন, এখন নেই কোন শত্রুতা। সব ঘুচে গিয়ে এখন তারা মিলে গেছেন পিএসজির ডেসিংরুমে। এই উদাহরণটা হতে পারে আইপিএলের দুই ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও  জস বাটলার এর ক্ষেত্রেও। এবারের আসরের নিলামের সৌজন্যে এই দুই চিরশত্রু এক হয়ে গেলেন। এখন তারা খেলবেন একই দলে। কি এমন শত্রুতা যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ।

ফিরে যেতে হবে তিন বছর আগের আইপিএলে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের আইপিএলে। সেবার তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মনে পড়ছে?  তখন রবীচন্দ্রন খেলতেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে। সেবার আইপিএলের একটি ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলারকে ‘মানকড় আউট’ করে ক্রিকেট দুনিয়াতে ঝড় তুলেছিলেন  অশ্বিন। মানকড় আউট ক্রিকেটে স্বীকৃত, কিন্তু তুমুল বিতর্কিত। আর সেই আউট নিয়ে উঠেছিল নানান বিতর্ক। অশ্বিন-বাটলার কেউ কাউকে ছেড়ে দেননি। হয়ে উঠেছিলেন চিরশত্রু।

আর সে দিন এই ইস্যুতে ক্রিকেট বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি বিষয়টি মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) পর্যন্তও গড়িয়েছিল। সেদিন এই ইস্যুকে সামনে রেখে

অশ্বিন-বাটলারও তুমুল তর্ক করেছিলেন। আর তিন বছর পর আইপিএলের সৌজন্যে এবার এক দলে তারা, বন্ধু হতে বাধ্য। আসন্ন আসরে দুজন খেলবেন রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে।

দুই ‘শত্রু’ একই দলে খেলবে তা জানার পর  বীরেন্দ্র শেবাগ টুইট করেন, ‘হা হা হা, অশ্বিন রাজস্থানে! বাটলারের সঙ্গে যোগসাজশ করে তার মানকড় আউট করা দেখতে ভালোই লাগবে।’ অশ্বিন নিজেও এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ রাজস্থান এবার আমাকে দলে টেনেছে। খুবই ভালো লাগছে। তারচেয়েও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাটলারের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে পাশাপাশি বসতে পারব।’

 84 total views,  2 views today