নিজস্ব প্রতিনিধি – ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌর ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এর মধ্যে চমক দেখিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
আগরতলা পৌরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পৌর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনো দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছে বিজেপি। বাকি ২২২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। আজ রোববার তার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। মোট ৩৩৪টি আসনের মধ্যে ৩২৯টিতে জিতেছে বিজেপি।
রাজ্যে যে ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে এর মধ্যে ধর্মনগরে ২৫টি আসনের মধ্যে সব কটিতেই জয়ী বিজেপি। পানিসাগরে ১২টি আসনে জিতেছে বিজেপি। একটি পেয়েছে সিপিএম। কুমারঘাটে সব কটি (১৫ আসন) আসনই জিতেছে বিজেপি।
আমবাসায় ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম এবং ত্রিপুরামোথা একটি করে আসন জিতেছে। এ ছাড়া তেলিয়ামুড়া (১৫ আসন), সোনামুড়া (১৩ আসন), অমরপুর (১৩ আসন), বিলোনিয়াতে (১৩ আসন) সব কটি আসনে জয়ী গেরুয়া শিবির।
ফলাফল ঘোষণার পর ‘ঐতিহাসিক দিন’ আখ্যা দিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ‘ঐতিহাসিক দিন। সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। রাজ্যের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে যেভাবে পদদলিত করা হচ্ছিল তারই উত্তর দিয়েছেন ত্রিপুরাবাসী।’
অপরদিকে আগরতলায় ২৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। ত্রিপুরার পুরভোটের ফল নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দুমাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তারপরও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’
আরেক টুইটে কুণাল বলেন, ‘হামলা, মামলা, তাণ্ডব করে ছাপ্পা ভোটের পুরবোর্ড গড়ছে বিজেপি। আর মানুষের মন জয় করেছে তৃণমূল। ২০২৩-এ তৃণমূলের জয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলো।’