অনেক হাই প্রেসারের রোগীও লো প্রেসারে ভুগতে পারেন। একবার হাই হয়ে গেলে তা আর কমবে না, এমন কোনো কথা নেই।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, লো প্রেসারকে বলা হয় হাইপো টেনশন। চিকিৎসকের মতে, সাধারণ ব্লাড প্রেসার হওয়া উচিত ১২০/৮০। ব্লাড প্রেসার যদি ১১০/৬০-এর নিচে নেমে যায়, তা হলে লো ব্লাড প্রেসার বলে ধরে নিতে হবে। ব্লাড প্রেসার বেশিও যেমন খারাপ, তেমনি কমও খারাপ।
উপসর্গ
বেশি লো হয়ে গেলে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন—
► ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঝিমঝিম করা, দুর্বল লাগা। হাঁটাচলায় ভারসাম্য রাখতে না পারা।
► আবহাওয়া গরম থাকলেও শরীরে শীত লাগা।
► ব্লাড প্রেসার কমলে দৃষ্টিও ঝাপসা হয়। শরীরের অভ্যন্তরে কম রক্ত চলাচলে এমনটা ঘটে।
► বমি বমি ভাব, অনিয়মিত হৃত্স্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে।
► এমনকি মাথায় অক্সিজেনের অভাব হলে জ্ঞান হারানোও বিরল নয়।
এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডিজিটাল যন্ত্রে ব্লাড প্রেসার মেপে দেখতে হবে।
করণীয়
ব্লাড প্রেসার কমে গেলে স্যালাইন খেতে হবে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণেও প্রেসার কমতে পারে। ব্লাড প্রেসার ১১০/৬০-এর চেয়ে অনেক কম হলে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনিতে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে পারে না।
তখন বুক ধড়ফড়, অজ্ঞান হওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ব্লাড প্রেসার কমে গেলে রোগীকে লবণ ও চিনির শরবত খাওয়াতে হবে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে পানিতে শুধু লবণ গুলিয়ে খাওয়াতে হবে।
রোগীর কানের লতির চারপাশে, ঘাড়ে আর মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। প্রেসার বাড়াতে ডিম আর দুধ খাওয়াতে পারেন। কড়া কফি খাওয়ালেও কাজ হবে। হাইপোটেনশন হলো অন্য রোগের প্রকাশ। যেসব কারণে নিয়মিত বিরতিতে লো প্রেসার হয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তার কারণ নির্ণয় করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
__________________________________________________________
__________________________________________________________
_______