ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ভালোবাসার সাধ পূরণ
জ্যোতিষ সম্রাট নমিতা বিশ্বাস
(কে পি অ্যাস্ট্রোলজার)
যোগাযোগ – ৯০০৭৫৩২৫৪৫/৮৬৯৭৫৮১৭৮৮
বিশ্ববাংলা সেরা ২০০৮, এশিয়ান টপ টেন, গোল্ড মেডেলিস্ট)
গোলাপ ফুল এমনই একটি ফুল যার রূপে, গন্ধে সবাই মোহিত হয়ে যায়। খালি ভারত নয়, এই ফুল বিশ্বের সমস্ত মানুষকে আকর্ষণ করে। তাই বিশ্বে ৭০টিরও বেশি দেশে এই ফুলের চাষ হয়ে থাকে। কারণ, এর চাহিদা অনেক বেশি। এই ফুল নিয়ে অনেক গবেষণাও চলছে। ফলে নিত্য নুতন নানা ধরণের গোলাপ দেখতে পাওয়া যায়। এই ফুলের রূপ, গন্ধ মানুষকে আকৃষ্ট করে, ফলে সমাজে নানা উৎসবে ও অনুষ্ঠানে এই ফুলের ব্যবহার হয়ে থাকে। উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও কিছু কিছু বিশেষ পূজোয় এবং কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে মা-লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশকে লাল গোলাপ অর্পণ করা হয়। এছাড়াও বিশেষ কিছু টিপ্স করার জন্যও এই ফুল ব্যবহার করা হয়। মান-সম্মান বৃদ্ধির জন্যও লাল গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করা হয়। আগেকার দিনের রাজারাও এই ফুল ব্যবহার করতেন।
বিভিন্ন রঙের গোলাপের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কার্যকারিতা আছে। প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে এই ফুলের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ফুলের রং আমাদের নিঃশব্দে অনেক কিছু বলে দেয়। এবার আমরা জেনে নেব বিভিন্ন রঙের গোলাপ কী কী কাজে লাগে এবং তাদের ব্যবহার করে আমরা কীভাবে লাভবান হতে পারি।
(১) লাল গোলাপ : লাল গোলাপ হল সম্পূর্ণভাবে প্রেমের প্রতীক। যখন ইচ্ছা অভিলাষ অপরকে প্রকাশ করতে পারছেন না তখন একটি ফুল প্রদান করে সহজেই তা প্রকাশ করতে পারেন। কাউকে মনে মনে ভালোবাসলেন এবং মনেপ্রাণে তাকে চাইলেন, যদি তা কোনোভাবেই প্রকাশ করা না যায়, তবে একটি লাল গোলাপ ফুল প্রদান করে অত্যন্ত সহজ ও সরল ভাষায় তাকে মনের ইচ্ছা জানাতে পারা যায়।
(২) গোলাপি গোলাপ : গোলাপি রংয়ের গোলাপ হল আনন্দের প্রতীক। একজন অপরজনের সঙ্গে যখন আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চায়, তখন এই রঙের গোলাপের বিশেষ মাহাত্ম থাকে। ভ্যালেনটাইন ডে-তে প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে দিতে পারে। এতে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অটুট থাকে।
(৩) হলুদ রংয়ের গোলাপ : দীর্ঘদিন ধরে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে মনোমালিন্য চলছে, তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে ভ্যালেন্টাইন ডে’র দিন আপনার ভালোবাসার মানুষকে হলুদ গোলাপ দিন। এই হলুদ গোলাপ স্ত্রী যখন স্বামীকে বা প্রেমিকা যখন প্রেমিককে প্রদান করে তখন এর মানে এরূপ দাঁড়ায়, আমি একমাত্র তোমারই এবং তুমি একমাত্র আমারই এবং তোমার আমার মধ্যে তৃতীয় জনের কোনো স্থান নেই।
(৪) কমলা রংয়ের গোলাপ : আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষকে পাগনের মতো ভালোবাসেন ও আপনার এই ভালোবাসাকে দীর্ঘস্থায়ী রাখার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে’র দিন কমলা গোলাপ প্রদান করুন।
(৫) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের মিল হওয়ার জন্য গোলাপের ব্যবহার : অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের অমিল দেখা যায়। ফলস্বরূপ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই অশান্তি বিরাট আকার ধারণ করে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি মতের অমিল থাকে তাহলে ভ্যালেন্টাইন ডে থেকে শুরু করুন এবং নিয়মিত করতে থাকুন, দেখবেন সম্পর্ক মধুর হবে।
উপায় সমূহ : (১) একটি রুমাল সাইজের লাল ভেলভেট কাপড় নিন। অল্প গোলাপের পাপড়ি ওই ভেলভেট কাপড়ের মধ্যে দিয়ে ভাঁজ করে ওই কাপড়টি যে আলমারিতে স্বামী-স্ত্রী জামাকাপড় রাখেন সেই আলমারিতে রাখুন। এই নিয়মটি ভ্যালেন্টাইন ডে থেকে শুরু করে প্রত্যেক সপ্তাহে শুক্রবার কাপড়টি বার করে পুরনো পাপড়িগুলি বের করে ফেলে দিন এবং নতুন পাপড়ি দিয়ে কাপড়টি ভাঁজ করে রেখে দিন।
(৬) প্রেম বিবাহের সফলতা : বর্তমানে প্রেম ঘটিত বিবাহ হামেশাই হয়ে থাকে। সমাজের চোখে এটা আজ আর কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বহুদিন প্রেমিক প্রেমিকা একসঙ্গে ঘোরাফেরার পরেও কোনো কারণে বিয়ে হচ্ছে না বা কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে আবার কখনো কখনো প্রেম ঘটিত বিবাহের পরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসছে। তাই যাতে প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বাধা না আসে তার জন্য প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী যিনি অসুবিধার সন্মুখীন হচ্ছেন তিনি বা উভয়েই যেকোনো মঙ্গলবার বা শুক্রবার এই উপায়টি করতে হবে।৯টি কানের দুলের মতো সরু করে রূপোর দুল বা আংটি বানিয়ে নিন। তবে ৯টি রিং একই মাপের একই ওজনের একই রকম দেখতে হবে। যেকোনো মঙ্গলবার বা শুক্রবার কালো নিম গাছের গোড়ায় এইগুলি একসঙ্গে পুঁতে দিয়ে আসুন। যদি মেয়েরা করেন, তবে দুল বানাবেন এবং ছেলেরা করলে আংটি বানাবেন। তবে উভয়ে একসঙ্গে করতে চাইলে দুল এবং আংটি প্রত্যেকটি ৯টি করে বানাতে হবে এবং প্রেমিক-প্রেমিকা ভিন্নভিন্ন ভাবে পুঁতে দেবেন।
(৭) ভ্যালেনটাইন ডেতে কাচের বাটিতে সবুজ গুঁড়ো মেহেন্দি ও কালো মাষকলাই নিয়ে ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রাখবেন। এমনভাবে বাটিটা রাখবেন যাতে কেউ দেখতে না পায়। বাটিতে দুজনের নাম লিখুন
(৮) সঙ্গীটির রঙিন ফটো গোলাপ জলে তুলো দিয়ে মুছে নিয়ে নিজের পরা কাপড়ে মুড়ে আলমারির কোণায় লুকিয়ে রাখতে হবে, যাতে সকলের অগোচরে থাকে।
(৯) স্বামী বা প্রেমিকার ব্যবহার করা রুমাল নিজের রুমালের সঙ্গে গিঁট বেঁধে আলমারির কোণায় লুকিয়ে রাখতে হবে যাতে কেউ না দেখে।
(১০) স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গভীর হওয়ার জন্য ঘরের মধ্যে একটা পাত্রে আগুন জ্বেলে দুজনে সাতপাকে ঘুরে অগ্নিদেবতার কাছে প্রার্থনা করতে হবে যাতে ভবিষ্যৎ জীবন সুখের হয়।
(১১) প্রেমিক প্রেমিকার শোওয়ার ঘরে রাধাকৃষ্ণের ফটো রাখুন। কিন্তু সাবধানে বিয়ের পর সেই ছবি কিন্তু সরিয়ে দেবেন।
(১২) নদীতে বা জলাশয়ে সাদা গোলাপ ফুলের পাপড়ি বা দোপাটি ফুল মধতে ডুবিয়ে একসঙ্গে ভাসিয়ে দেবেন।