শিশুর শৈশব এবং কৈশোরে প্রস্রাবের পথে ইনফেকশন এক সাধারণ সমস্যা। শিশু জন্মের ১ মাস বয়স পর্যন্ত ছেলেদের এটা দ্বিগুণ হয়, কিন্তু ১ বছর থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত  ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ১০ গুণ  বেশি হয়। ৫ বছর থেকে ১৫ বছর বয়সের স্কুলগামী মেয়েদের প্রায় ৫ শতাংশ ভোগে প্রস্রাবের পথেরই ইনফেকশনে। ৮০ ভাগ রোগীর বারবার এ সমস্যা দেখা দেয়।রোগের কারণ : প্রস্রাবের পথের ইনফেকশন বা সংক্রমণের প্রধান কারণ হলো মলাশয়ের ব্যাকটেরিয়া।

মেয়েদের ক্ষেত্রে রোগটি সবচেয়ে বেশির ঘটায় ই.কলাই নামক ব্যাকটেরিয়া। এছাড়া অন্য যে ব্যাকটেরিয়াগুলো দায়ী সেগুলো হলোথ ক্লেবসিয়েলা, প্রোটিয়াস, স্টাফাইলো কক্কাস অ্যালবাস, সিউডোমোনাস। ছেলেদের ক্ষেত্রে রোগটি বেশি ঘটায় প্রোটিয়াস ব্যাকটেরিয়া। এছাড়া ই.কলাই, ক্লেবসিয়েলা, স্টাফাইলো কক্কাস, সিউডোমোনাসও রোগটি ঘটিয়ে থাকে।

মলত্যাগের পর ধৌত করার সময় এসব ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে মূত্রনালি পথে ভেতরে প্রবেশ করে এবং এর ফলে ইনফেকশন দেখা দেয়। এছাড়া মূত্রপথে কোনো আবদ্ধতা থাকলে ইনফেকশন ঘটে। কোষ্ঠকাঠিন্যে বেশি ভুগলে মূত্রপথে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

উপসর্গ : ১ বছর বয়সের শিশুর প্রস্রাবের পথের ইনফেকশনের উপসর্গের সঙ্গে বয়স্ক শিশুদের উপসর্গের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের রোগ নির্ণয় কঠিন হয়ে পড়ে। ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর যেসব উপসর্গ দেখা দেয় : জ্বর * ওজন কমে যাওয়া * বমি বমি ভাব * ডায়রিয়া * জন্ডিস। ১ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের যেসব উপসর্গ দেখা :  জ্বর * অল্প প্রস্রাব * ঘন ঘন প্রস্রাব * প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া * বিছানায় প্রস্রাব করা * তলপেটে ব্যথা * প্রস্রাবে দুর্গন্ধ * কখনো কখনো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া * কাঁপুনি রোগীর কিডনিতে ইনফেকশন থাকলে রোগী আক্রান্ত কিডনির স্থানে ব্যথা অনুভব করবে। পাইলো নেফ্রাইটিস রোগ থাকলে রোগীর কোনো উপসর্গ  নাও প্রকাশ পেতে পারে।

 

__________________________________________________________

 

 

 

__________________________________________________________

_______

 

 

 

 

 

 

 

  

Loading