বনৌষধি
এক টুকরো চাঁদ কে কোন দিন পায়নি।
যদিও নির্ভয়ে চাঁদ বলেছিলো
স্বপ্নে আসতে চেয়ে ছিলো।
শীতল পাটির উপর শুয়ে থেকো
চোখে শীতল জলের আছাড়ে ভেঙ্গে
দিয়েছিলাম স্বপ্নের অঙ্গুর
চড়াই উতরাই পথ বহুদূর
এভাবেই বড় হয়ে ছিলাম
জানিনা ঠিক বড়ো হয়েছি
বা কোন দিন হব কিনা
“মা”কে শুধিয়ে ছিলাম
বাবা কেও প্রশ্ন করে ছিলাম
বড় হওয়া কাকে বলে?
কয়েক বৎসর
যেতে না যেতেই
উত্তর গুলো বিলীন হয়ে গেল।
অবচেতন অধীনে
অভিভাবক হীন প্রশ্ন চিহ্নে।
তবুও বার বার কবির কথা মনে করি
ভালোবেসে নদী হয়ে ওঠে
নদী ,অথচ এতটুকু শ্বাস থাকবে।
করুনা করে আড়াল থেকে।
ভেসে এল বানভাসি কাঠ।
দুহাত জরিয়ে,আমার লাশ অপেক্ষায়
যত্নে মাখামাখি করে।
বানিয়ে সারিয়ে
অনেকটা নিজের নরম আদলেই
ছাঁচ করলি আমায়-
অজস্র ধারায় ভিজে যাচ্ছি আমি
ভিজছে সব।
আয়নায় হটাৎ দেখি
আমার উঠানে সতেজ চারা গাছ দিয়ে
আগলে দাঁড়িয়ে আছে
এক বৃহৎ বনৌষধি
চক্ষু যখন দাঁড়িয়ে অপলক
আঁখি বেয়ে নামছে বারিধারা
মুদলে নয়ন হচ্ছে খরস্রোতা
ঝাপসা দৃশ্যে হচ্ছি আমিহারা।
…………………………………………………….
-
-
-
-
__________________________________________________________
-
-
-
-
-
-
-
__________________________________________________________
-
-
_______
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-
-