কবিতা- ব্যথিত ডাহুক

কলমে  ✍️: তৃপ্তি সুধা মণ্ডল

শ্রী রমেশ মিত্র রোড, গ্রাম-কাদিহাটি, পোঃ গান্টি

উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা-১৩২

……………………..

 

সময়ের সাথে সাথে বার্ধক্য এসে হানা দেয় শরীরে

চুলে সোনালী রেখা,

মুখের লাবণ্য কমে যায়,

শরীরের ভাঁজে ভাঁজে

বিবর্ণ রূপ ,

কিন্ত মন বার্ধক্য হয় না ,

তখনই শরীর আর মনের মাঝে অহরহ

এক দ্বন্দ্ব চলে ,

যৌবনের যে ইচ্ছে গুলো

বুকের মাঝে চাপা থাকে

সেই ইচ্ছেরা কথা বলতে শুরু করে,

কিছুটা দায়িত্ব কমে যাওয়ার কারণে ।

 সংসারে প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় ,

কিন্ত মনের ইচ্ছেরা  কথা বলে

একান্ত করে নিজের সাথে ।

এই তো জীবন শেষের বেলায়

একটু না হয় ভাবি নিজের জন্যে ।

অনন্ত নীল আকাশ বড় মায়াবী মনে হয়।

নারকেল গাছ টা একা একা দাঁড়িয়ে বাতাসের

সাথে কথা বলে ,

সঙ্গী হীন জীবন

তবুও অদ্ভুত ভাবে সে ও বেচেঁ থাকে

প্রকৃতির বুকে !

নিজেকে প্রকৃতির কাছে  বিলিয়ে দিতে

ইচ্ছে করে ।

এই আকাশ এই বাতাস

এই অরণ্য

সব বুঝি খুব আপন

এখানে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না ।

অদ্ভুত এক প্রশান্তি,

মনে হয় হেঁটে যাই

কোন এক হিজলের পথ ধরে ,

জীবনের হিসাব থেকে মুক্তি খোঁজে মন ।

অনন্ত পৃথিবী

কেউ তো আছে আমার মত

যে খুঁজে চলে জীবনের অর্থ,

সময় ফুরিয়ে যায়

বৃন্ত থেকে খসে পড়ে

হৃদয়ের পাপড়ি,

কোন এক গাঙের কূলে দাঁড়িয়ে

বুকের মাঝে যেন ডেকে ওঠে

এক ব্যথিত ডাহুক ,

কত কত ফুলের নির্যাস

মিশে যায় বাতাসে ,

আনমনা মন কাকে যেন খুঁজে

কে সে কেউ জানে না ।

Loading