ছোট গল্প দাদুর কিপটেমি

রচনা – শ্যামল মুখার্জ্জী

 

পরিচিতি

কবি ও সাহিত্যিক – শ্যামল মুখার্জ্জী।

মোবাইল নাম্বার -9775990958

ইমেইল – shyamalmukherjee561@gmail.com

( ৬)ঠিকানা- শ্যামল মুখার্জ্জী। পিতা -ঈশ্বর নারায়ণ মুখার্জ্জী। মাতা -ঈশ্বর মায়া রানী মুখার্জ্জী।গ্রাম -রাধানগর( সায়ের পাড়া) পোস্ট বন রাধানগর। পিন ৭২২১৫৭, ফোন নম্বর ৯৭৭৫৯৯০৯৫৮

(২ )।জন্মস্থান -বৈঢ্যা, পাঁচাল,বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। জন্মতারিখ ১০/০১/১৯৬৬ (৩ )বয়স- ৫৮ বৎসর। (৪ ) পেশা -শিক্ষকতা। (৫) শখ- লেখালেখি ও সমাজ সেবামূলক কাজ।

(৭) সাহিত্য জগতে অবদান- মোট ৩০টি যৌথ সংকলনে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। এবং একটি একক বই প্রকাশ ছোটদের জন্য নীতি শিক্ষামূলক গল্প ।

(৯) বিশেষ কোন বার্তা -লেখালেখির কাজ এবং সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা।

……………………………………………………………………………………………………….

ছোট গল্প  দাদুর কিপটেমি  

দাদুর নাম ভুবন, নাতির নাম সুশীল, দাদুর বয়স ৬৭ বৎসর, নাতির বয়স ১১ বৎসর, দাদু ও নাতি দুজনের মধ্যে খুব ভাব। নাতি মাঝে মধ্যে দাদুর পিঠে চেপে বসে। মাঝে মধ্যে তাদের মধ্য ঝগড়াঝাটি হয়। নাতি একদিন দাদুকে বলল, দাদু আজ আমি কচি পাঠার মাংস খাব। দাদু বলল, ঠিক আছে, তাই খাওয়াব। তুই শান্ত হয়ে ঘরে বসে থাক। আমি তোর জন্য মাংস কিনে আনছি দাদু বাজারে গেল, বাজারে গিয়ে দেখল, কচি পাঠার মাংসের দাম ৭০০ টাকা কেজি। শুনে দাদু থর্ থর্ করে কাঁপতে লাগলো, ও বাবারে সাতশত না, না, আমি এত দাম দিয়ে নাতিকে মাংস খাওয়াতে পারবো না। এরপর দাদু মুরগীর মাংসের দাম শুধালো, তখন দোকানদার বলল, দুইশত টাকা কেজি। তখন দাদু পকেট হতে দুইশত টাকা বার করছে, আবার পকেটে টাকাটি ভরে নিচ্ছে, দোকানদার বলল দেব নাকি। তখন দাদু বললো, পঞ্চাশ টাকা কেজি হবে না। তখন দোকানদার রেগে গেল, বলল পঞ্চাশ টাকায় মাংস খেতে হবে না। শামুক কিনে খানগে। তখন দাদু আনন্দে হেসে উঠল। বলল বা, বা, শামুক ও তো মাংসের মতো। তুমি ভালো যুক্তি দিয়েছো বন্ধু। আমার একশত পঞ্চাশ টাকা বেঁচে যাবে। তখন দাদু পঞ্চাশ টাকার শামুক কিনে, বাড়ি ফিরল। ঠাকুমা শামুক রান্না করে, দাদু, নাতিকে, খেতে দিল। এরপর নাতি দাদুকে বলল, দাদু কচি পাঠার মাংস এনেছ তো? হ্যাঁরে ভাই, তুই খেয়ে দেখ, কি সুন্দর খেতে। নাতি খেতে শুরু করল, নাতি ও প্রথমে শামুকের ঝোল বুঝতে পারেনি। কিন্তু শামুক সে চেনে। ভাতে শামুকের ঝোল ঢালতেই নাতি দেখল, কচি পাঁঠা না, এত শামুকের ঝোল। তখন নাতি দাদুকে বলল, দাদু তুমি আমাকে ঠকালে। তোমার কিপটেমি আমি বার করছি। তখন নাতি সুশীল রেগে ভাত খেল না। দাদুর সাথে কথা বলা বন্ধ করল। দাদু বলল, তুই আমার সাথে কথা বল, আমার ভুল হয়েছে ভাই। তোর জন্য, কচি পাঁঠার মাংস ১০০ গ্রাম, আনলে ভালো করতাম। পরের দিন তোকে এনে খাওয়াব।

গল্পটির নীতিবাক্য – কিপটেমি অনেক সময়, রাগ অভিমান ডেকে এনে আনন্দের মুহুর্ত্তটাকে নষ্ট করে।

Loading