কবিতা – “শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথ যাত্রার ইতিকথা”
শ্রী সুবোধ চন্দ্র সরকার
এম,কম ,এলএল,বি (আইনজীবী) মোবাইল- 9477443110
সৃষ্টিকর্তা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বপনে হলেন আবির্ভূত,
ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে দিল আদেশ মূর্তি এক করাইতে নির্মিত৷
সমুদ্র থেকে আনি ভাসন্ত এক কাষ্ঠখণ্ড দিল রাজারে,
কহিল দেব, করাও তৈরী জগন্নাথ দেবের মূর্তি অচিরে৷
করিতে লাগিল রাজা সন্ধান উপযুক্ত কাষ্ঠ শিল্পি করিবারে মূর্তি নির্মাণ,
বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ এক জানালো সম্মতি করিল কিছু শর্ত দান৷
দিলেন শর্ত নির্মাণ কালে তারে না করে যেন কেহ বাধা দান,
লাগিবে কিছুদিন করিতে এই মূর্তি সাধিতে নির্ম্মান৷
দিল বন্ধ করি দরজা কাষ্ঠ শিল্পী হইল রত গড়িতে মূর্তি,
আদেশ থাকিল যেন কেহ না করে তাকে এসময়ে বিরক্তি৷
হয়ে আগ্রহী রাজা-রাণী সহ সকলে বন্ধ দরজার কাছে যেত,
ভিতর থেকে খোদাইয়ের ভেসে আসা আওয়াজ সদা শুনতে পেত৷
কৌতুহলী রাজা রাণী সহ সব অত্যন্ত আগ্রহী হন, আওয়াজ বন্ধ হল যখন,
দিয়ে দরজায় কান করিতে সন্ধান খোদায়ের আওয়াজ করিতে শ্রবণ৷
কি হইল অঘটন কৌতুহল রাণী না পারে করিতে সংবরণ,
খুলিল দরজা করি প্রবেশ দেখিল মূর্তি অর্ধ সমাপণ৷
নাহি কেহ চর্তুদিকে না পাইল দেখিতে অন্তর্ধিত ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী,
ছদ্মবেশে নিয়েছিল দায়িত্ব যিনি ছিলেন ইনি বিশ্বকর্মা দেব শিল্পী৷
হলেন বিমর্ষ রাজা মুর্তির হস্তপদ হয়নি এখনও নির্মিত,
কাজে বাধাদানে রাজা রানী দুঃখ অনুতাপে হইল বিমর্ষিত৷
দিতে সান্ত্বনা তাদের দেব ঋষি নারদ হইল আবির্ভূত,
কহিল রাজারে পরমেশ্বরের অর্ধসমাপ্ত মূর্তি রূপ নহে অস্বীকৃত৷
শুনি সেকথা রাজার আদেশে অদ্ভূত মূর্তিতেই জগন্নাথদেব পূজিত৷
প্রশ্ন আসে মনে মন্দির ছেড়ে প্রভূ রথে চড়ে কেন হন বর্হিগত৷
দর্শন দেন প্রভূ সেই সব ভক্ত জনে আসিতে না পারে মন্দিরে নানা কারনে,
জগতের প্রভূ চান ইহা তিনি সকলের সদা করিতে পাপ মোচনে৷
বৎসরে একবার এই যাত্রা প্রভূ করেন বাড়াতে ভক্তির মাত্রা,
এই প্রথা তাই হয়েছে নামাঙ্কিত জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা৷