বলতো
কলমে – কেয়া দেবনাথ
ভূলের হাটে বসত করি
ভুলের হাটে করি কেনাবেচা-
ওই পথে ছুটেই ক্রমশ পথভ্রষ্ট হই
সেই নিশানাতে তীর মেরে হয়েছি লক্ষ্যভ্রষ্ট,
কারো কারো জন্ম লগ্ন থেকেই লাট্টুর মত ঘুরে যেতে হয়।
সঠিক অবলম্বন জোটেনা।
নির্ঘুম প্রায় প্রতি রাতেই ঈভের কান্না শুনি,
মর্মে মর্মে প্রতিধ্বনিত হয় সারা প্রকৃতি জুড়ে-
এই উপলব্ধির জন্য পবিত্র একটি হৃদয় থাকা চাই
আদমের তা নেই।
নারীর সম্ভ্রম ও লজ্জার উপর বসন হয়ে দাঁড়াতে হয়।
তার সেটাও জানা ছিল না।
শুধু ভালোবেসেই আমাবস্যার চাঁদ পারে
পূর্ণিমার আলোয় সাজতে,
নিটোল ভালোবাসায় গড়া পৃথিবীটাই তো বশ
নতজানু প্রেমের কাছে। তবে কেন?
তবে কেন অপ্রেমের কোলাহল?
দেখনি কি আকাশ মাটির চুম্বন?
পাহাড় সাগরের নিবিড় আলিঙ্গন-
রুক্ষ প্রকৃতিও হয় পোয়াতি প্রবল বর্ষণে
হিংস্র প্রাণী ও সহমর্মিতায়।
মহাসমারোহে তোল নিজস্বী এন্ড্রয়েডে
ক্যাপশন ও নির্বোধের,
ভুল তো করেছি জন্ম নিয়ে।
পিতার হলাম না সহায়-
মায়ের চোখের জলের আশ্বাস-
পতির যোগ্যতমা – পুত্রের দীর্ঘশ্বাস,
নেই সেই সীতা দ্রৌপদীর যুগ,
পদে পদে লাঞ্ছনা গঞ্জনা- অপমান বিদ্রুপ
মানাতে ও মেনে নেওয়ার বাঁধটা আর নেই,
বলতো- কিসে ছিলাম ভুল?
উত্তর আছে কি প্রশ্নের?