একটু পরশ দিও

✍️ আনন্দময়ী চট্টোপাধ্যায়

গ্রাম + পোঃ বন রাধানগর. থানা-বিষ্ণুপুর, জেলা – বাঁকুড়া

 

আমার সাথে হাত ধরে-

পথে চলতে হবে না তো,

আমার সাথে চোখে চোখ রেখে-

কথা বলতে হবে না তো,

শুধু তোমার মনের মাঝে,

সকাল বিকেল দুপুর সাঝে

যখনই হোক একটুখানি-

পরশ তব দিও,

এতেই হব অনেক খুশি-

তুমি জেনে নিও।

একা একাই সাগর তীরে-

ঘুরবো যখন ধীরে ধীরে,

ঢেউ হয়ে তাই হঠাৎ করে-

শাড়ির আঁচল ছুঁয়ো,

আমি হেসে পিছন ফিরে,

ঢেউকে ধরে আদর করে-

খুশি হয়ে বলবো ওগো-

তুমি আমার প্রিয়,

আমার প্রাণে এমনি করেই-

তোমার পরশ খানি দিও।

সরষে ক্ষেতের আলে আলে,

হলুদ ফুলের ডালে ডালে,

বাতাস হয়ে হেলে দুলে-

কানে কানে কইও,

অলস দিনের বিকেলেতে,

স্পর্শ সুখে ভরিয়ে দিতে,

এলো চুল উড়িয়ে দিতে-

এলেম বুঝে নিও,

এইভাবেতেই বক্ষে আমার-

সুখের পরশ দিও।

প্রখর তাপে দগ্ধ দিনে,

চলতে পথে আপন মনে,

বৃক্ষছায়া হয়ে মাথায়-

শীতলতা দানিও,

এইভাবেতেই যখন তখন,

তোমার পরশ হয়ে এমন-

আপন করা সুরে আমায়-

আপন করে নিও,

সারা জীবন ধরে এমনি করে ই-

তব পরশটুকু দিও।

Loading