ঘর-সংসার, অফিস— সব একা হাতে সামাল দিতে হয়। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাড়ি ফিরে আর নিজের দিকে তাকাতে সময় পান না নারীরা।
ইদানীং স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাতেও অনীহা বোধ করছেন। শুধুই কি কাজের চাপ, না কি এই সমস্ত লক্ষণের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু ?
চিকিৎসকদের তথ্যমতে, অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করলে ক্লান্ত বোধ করা স্বাভাবিক। তা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই বোধ করতে পারেন। কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এই ধরনের কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে মহিলাদের শরীরে।
মহিলাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণগুলি কী?
১) রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। মহিলারা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন বেশি।
২) অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত বোধ করেন, বিছানায় পিঠ ঠেকানো মাত্রই ঘুমিয়ে পড়ার লক্ষণ অত্যন্ত সাধারণ। মহিলারা ঘরে-বাইরে অনেক বেশি পরিশ্রম করেন। এই সাধারণ লক্ষণ কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকার কারণেও হতে পারে।
৩) দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা একটু হলেও বেশি দেখা যায়।
৪) ঘরের কাজ করতে গিয়ে আঘাত লাগা বা কোথাও কেটে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে মহিলাদেরই। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে সেই ক্ষত সারতে প্রচুর সময় লাগে।
৫) মহিলাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মূত্রনালির সংক্রমণের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। যৌনাঙ্গে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের হারও বেড়ে যেতে পারে। যৌনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে সঙ্গমে অনীহা দেখা দিতে পারে।
৬) রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কমবয়সি মেয়েরা অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগতে পারেন। যা পিসিওডি এবং পিসিওএস-এর মতো রোগের অন্যতম লক্ষণ।
৭) ডায়েট বা শরীরচর্চা কিছু না করেই হঠাৎ ওজনে পরিবর্তন আসতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে। মহিলারাই এই সমস্যার শিকার হন বেশি।
__________________________________________________________
__________________________________________________________
__________________________________________________________