অনেক সময়ই দেখা যায় শিশুরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে না। অন্যমনস্ক হয়ে পড়া, অবসাদগ্রস্ত হওয়া, একা একা থাকতে চাওয়া।, সকলের থেকে দূরে গিয়ে, ঘরের কোনায় কিংবা একা একা থাকতে চায়। চোখে মুখে অস্বস্তি, ভয়। এমন পরিস্থিতি হলে কখনই অবহেলা করবেন না। শিশুদের সঙ্গে যৌন হেনস্থা হলে এই লক্ষণগুলিই প্রাথমিকভাবে দেখা যায়।
আমাদের চারপাশে এই যৌন হেনস্থা ক্রমশ বাড়ছে। আর এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হন অনেকেই। সেই কারণে শিশুরাও শারীরিক সমস্যায় পড়ে। শিশুদের সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রতিদিন অসংখ্য শিশু এইরকম যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে। শৈশবের এই ঘটনাগুলো তাদের অবচেতন মনে সারাজীবন কষ্ট দেয়। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
শুধুমাত্র স্পর্শের মাধ্যমেই যে যৌন নির্যাতন হয়, তা সবসময় নয়। অযাচিত স্পর্শ বা চুম্বন না করে অশ্লীল ছবি, ভিডিও দেখানোও যৌন নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। এই নির্যাতনেই মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। শিশুদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা বা শারীরিক কার্যকলাপেও পরিবর্তন আসে।
বিশেষ করে যখন শিশুদের গোপনাঙ্গে বা তার আশেপাশে ব্যথা, চুলকানি বা রক্তপাত হয়, হাঁটতে বা বসতে অসুবিধা, খুদা কমে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, মন খারাপ হওয়া, এইগুলি গুরুতর লক্ষণ। এইসব ক্ষেত্রে অবিলম্বে অভিভাবকদের সতর্ক করা উচিত।
সূত্র : আরব নিউজ, দ্য ইনডিপেনডেন্ট