শান্তি রায়চৌধুরী; কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকরের খ্যাতি যত ছড়িয়েছে, ততই বেড়েছে শত্রু। তার জীবনে যেমন আছে সুখস্মৃতি, তেমনি আছে মন্দস্মৃতি।
পদ্মা সচদেবের লেখা ‘লতা মঙ্গেশকর: অ্যায়সা কাঁহা সে লাউঁ’ গ্রন্থটির মাধ্যমে জানা গিয়েছিল তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাকে নিয়ে লেখা বই এবং সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, ১৯৬২ সালে তার খাবারে বিষ মিশিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
৩৩ বছর বয়সী লতা যখন খ্যাতির চূড়ায়, তখনই তার সঙ্গে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। হঠাৎই ভোরে তার পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে কিছুক্ষণ পরই তিনি সবুজ বমি করতে থাকেন।
ধীরে ধীরে তার শরীর অসাড় হয়ে পড়ে। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন লতা। চিকিৎসককে খবর দিলে বাড়িতে এক্স-রে করা হয় তার। ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে।
অন্যদিকে এক্স-রে রিপোর্টে তাঁর পাকস্থলীতে বিষের উপস্থিতি মেলে। চিকিৎসকরা দাবি করেন, তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সময়টায় টানা তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছিলেন লতা।
১০ দিন পর অবস্থার উন্নতি হয় লতার। বিষক্রিয়ার কারণে দীর্ঘদিন পর্যন্ত গরম খাবার খেতে পারতেন না তিনি। তবে কে বা কারা তাকে হত্যার চেষ্টা করে, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
তবে লেখক তার বইয়ে জানিয়েছিলেন, লতার রাঁধুনি সেই ঘটনার পর কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকে লতাকে রাখা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তায়।