নিজস্ব প্রতিনিধি – টিভি ধারাবাহিকের খল চরিত্র ও কুটিলতা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেয়, এমন ভাবনায় ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এ ধরনের বিষয়বস্তুতে নিয়ন্ত্রণ আনতে চায়। তবে জনরুচিতে এই হস্তক্ষেপের প্রশ্নে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সন্ধ্যা হলেই নারী ও তাদের জীবনকেন্দ্রিক বিষয়বস্তু নিয়ে ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পর্দায় হাজির হয় জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো। ভারত ছাড়িয়ে সেগুলোর বিপুল দর্শক রয়েছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরেও।

এসব সিরিয়ালের নেতিবাচক বা খলনায়িকা চরিত্রগুলোও থাকে দর্শক আগ্রহের কেন্দ্রে। কিন্তু ধারাবাহিকগুলোর কুটিল দৃশ্য ও নেতিবাচক চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে বলে মনে করছে মোদি সরকার। তাই ১৯৯৪ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বিধিতে বদল আসতে চলেছে। এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি সোনিকা খাট্টার নোটিস জারি করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ‘খড়কুটো’, ‘দেশের মাটি’, ‘শ্রীময়ী’ ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলোতে চলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক। শ্রীময়ী সিরিয়ালের ‘জুন আন্টি’ খলনায়িকা রূপে আলাদা খ্যাতি কুড়িয়েছেন। এই ধারাবাহিকের লেখক, পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘টেলিভিশনই শুধু কূটকচালি করে এমনটা নয়, জীবনেও সেটা থাকে। আবার ভাল চরিত্রও থাকে, যা আমাদের উৎসাহিত করে।’ কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনা সামনে আসার পর তাকে সাধুবাদ দিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তাদের মতে, অনেকদিন আগেই এ ধরনের আপত্তিকর বিষয় বাদ দেয়া উচিত ছিল। এতে পারিবারিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ছে। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রুল মানতে হয় ৯০০র বেশি টিভি চ্যানেলকে। কেবল টেলিভিশনের বিধিতে, ২০২১ এর সংশোধনীতে কনটেন্ট সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া আরো দৃঢ় করা হয়েছে। ত্রি স্তরীয় ব্যবস্থায় অভিযোগ জানানো যাবে। এর শেষ ধাপে থাকছে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও।

Loading