নিজস্ব প্রতিনিধি – মহামারি করোনাভাইরাস থমকে দিয়েছে সাধারণ জীবনযাত্রা। এ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবসর সময়ে এক স্কুল শিক্ষার্থী ‘উইয়ার্ড হোয়েলস’ নামে একটি পিক্সেলেটেড শিল্পকর্ম তৈরি করে আয় করেছে কোটি টাকা! শুক্রবার বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রের নাম তার বেনিয়ামিন আহমেদ। সে লন্ডনের ১২ বছর বয়সী স্কুল ছাত্র। নন-ফাঙ্গিবল টোকেনের (এনএফটিএস) মাধ্যমে নিজের তৈরি করা এই শিল্প কর্ম বিক্রি করে আয় করেছে ২.৯ লাখ ইউরো। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করলেও সেটি জমা রাখার মত কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না তার। তাই ওই টাকা ইথেরিয়াম-ক্রিপ্টো কারেন্সিতে (ডিজিটাল মুদ্রা) জমা রেখেছে বেনিয়ামিন। এই অর্থ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকার সমান। এমন শিল্পকর্ম গড়ে তোলার জন্য যে পরিবেশ বা উৎসাহ দরকার ছিল কিশোর বেনিয়ামের সেটা সে তার পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছে। তার বাবা ইমরান একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। তিনি বেনিয়ামিন এবং তার ভাই ইউসুফকে অল্প বয়স থেকেই কোডিং নিয়ে উৎসাহ দিতেন। বেনিয়ামিনের বাবা ইমরান বলেন, ‘অন্য শিশুদের জন্য আমার পরামর্শ, নিজের আগ্রহকে গুরুত্ব দাও। কোডিংয়ের ওপর আগ্রহী না হলে জোর করে কোডিং শেখার প্রয়োজন নেই। যদি রান্নায় আগ্রহ থাকে তাহলে তাই করো। এক কথায় তুমি যেটাতে ভালো সেটাই করো।’ সন্তানদের নিয়ে গর্বিত ইমরান আরও বলেন, ‘আমার সন্তানদের জন্য মজার ব্যাপার ছিল কোডিং। যখন বুঝতে পারলাম তারা খুব সহজে বিষয়টি গ্রহণ করছে, তখন আমিও গুরুত্ব দেওয়া শুরু করলাম। আমার ছেলেরা প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট কোডিং অনুশীলন করত।’
বর্তমানে বেনিয়ামিন তৃতীয় সুপারহিরো-থিম নিয়ে কাজ শুরু করেছে। মূলত সে তিমি মাছের বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি ‘আন্ডারওয়াটার গেম’ তৈরি করতে চায়। ‘উইয়ার্ড হোয়েলস’ এর আগে সে আরও একটি কাজ করেছিল। কিন্তু সেটি এবারের মতো এমন বিক্রি হয়নি। বেনিয়ামিন এতকিছু করলেও তারা সহপাঠীরা ক্রিপ্টো কারেন্সি সম্পর্কে কিছু জানেই না। সেই সঙ্গে তার একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। সেই চ্যানেলে সে তার বিভিন্ন পছন্দের বিষয় সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে।