শান্তি রায়চৌধুরী :দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে গিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গী করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রাখল ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার (৬ নভেম্বর) প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১০ রানে হেরেছে ইংলিশ শিবির।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৭৯ রান করতে সক্ষম হয় ইয়ন মরগ্যান বাহিনী। এই ম্যাচের আগে সুপার টুয়েলভের এক নম্বর গ্রুপে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ছিল ইংল্যান্ড। ৫ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার নামের পাশে ৮ ও ৪ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ছিল ৬।
পয়েন্ট টেবিলের হিসাবে এ ম্যাচে জয় পেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালে যাওয়ার একটি সুযোগ ছিল। সে ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হতো নেট রানরেট। সেই লক্ষ্যে ইংল্যান্ডকে ১৯০ রানের টার্গেট দেয় টেম্বা বাভুমার দল। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে শর্ত দাঁড়ায়, সেমিফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে ১৩১ রানের আগেই গুটিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের সেমির টিকিট নিশ্চিত করতে দরকার ছিল স্কোর বোর্ডে ৮৭ রান তোলা।
সফল হয়েছে মরগ্যান বাহিনী। অন্যদিকে জিতলেও শেষ চারের টিকিট পাওয়া হয়নি প্রোটিয়াদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৮ হওয়া সত্ত্বেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গী অজিরা।
১৮৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৮, মঈন আলির ৩৭, ডেভিড মালানের ৩৩, জস বাটলারের ২৬ ও জেসন রয়ের ২০ রানে ভর করেও হার বরণ করে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। তাবরাইজ শামসি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২টি করে উইকেট পান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে টসে হেরে ইংল্যান্ডের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে প্রোটিয়া শিবির। শুরুতে ২ রানে রেজা হ্যানড্রিকস ফিরে গেলে কুইন্টন ডি কক বিদায় নেন দলীয় ৮৬ রানে। এরপর হাল ধরেন রসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মারক্রাম। অপরাজিত থেকে দুজনে মিলে গড়েন ১০৩ রানের জুটি। ৫২ বলে তারা স্কোর বোর্ডে এই রান যোগ করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে সবচেয়ে বেশি ৪৭ রান খরচ করেন মার্ক উড। ক্রিস জর্ডান দেন ৪৩ রান।