নিজস্ব প্রতিনিধি – নতুন স্বাভাবিকতা’ বদলে দিয়েছে সবকিছুকে। করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে ক্রীড়াজগতের অনেক কিছুই পাল্টে গেছে খোলনলচে। ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ পদ্ধতির আইপিএল যেমন গতবার হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে। এবারও মুম্বাইয়ের চার ভেন্যুতেই প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করতে চেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সে ভাবনা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছেন আইপিএল কর্তাব্যক্তিরা।
করোনা মহামারির মধ্যে ক্রিকেট আয়োজনে সতর্কতা মানতে হচ্ছে বেশ। জৈব-সুরক্ষা বলয়ে শেষ করতে হচ্ছে সবকিছু। এমন পরিস্থিতিতে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন মানে যাতায়াত, আবাসন, জৈব-সুরক্ষা বলয় তৈরি নিয়ে নিত্যনতুন নানা ঝক্কিতে পড়ার দুয়ার খুলে দেওয়া। সে ঝক্কি থেকে বাঁচতেই মূলত মুম্বাইয়ের চার স্টেডিয়াম-ওয়াংকেড়ে, ব্র্যাবোর্ন, ডিওয়াই পাতিল ও রিলায়েন্স স্টেডিয়ামে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষের।
তবে টুর্নামেন্টের দেড় মাস আগে এসে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির অবনতি নতুন করে ভাবাচ্ছে আইপিএলের নির্বাহী কমিটিকে। ভারতের এ রাজ্যে কেবলমাত্র গত বৃহস্পতিবারই করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজারেরও বেশি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে আর যাই হোক আইপিএল আয়োজন চলে না!
আর তাই বিকল্প ভেন্যুর কথা মাথায় রাখছে কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় বোর্ডের নির্ভরযোগ্য সূত্র ধরে পিটিআই জানাচ্ছে, হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কোলকাতাকে ভাবনায় রাখছে বোর্ড। তবে ফাইনাল ও প্লে অফের ভেন্যু নির্ধারিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। সে ভেন্যুটি হচ্ছে আহমেদাবাদ।
ভারতীয় বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সে সূত্রের ভাষ্য, ‘আর মাত্র মাসখানেক বাকি আইপিএলের। কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে আমাদের। মহারাষ্ট্রে যেভাবে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে শুধু মুম্বাইতে আইপিএল আয়োজন কঠিন হয়ে পড়বে আমাদের। এ কারণে আমরা হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কোলকাতায় ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছি। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, প্লে অফ আর ফাইনালের ভেন্যু হবে আহমেদাবাদে।’