শান্তি রায়চৌধুরী: ময়নাগুড়িতে উলটে গেল গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত হয়েছে চারটি বগি। বহু যাত্রীর হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উদ্ধারকারীরা।

খবর পাওয়া মাত্রই জেলার পদস্থ কর্তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীও খোঁজ নিয়েছেন দুর্ঘটনার।

বৃহস্পতিবার ৫ টা নাগাদ ময়নাগুড়ির দোমোহানি দিয়ে যাচ্ছিল ১৫৩৬৬ আপ বিকানের এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, ৪০ কিলোমিটার বেগে যাচ্ছিল গাড়িটি। আচমকাই লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির চারটি বগি। তিনটি বগি একেবারে উলটে যায়। একটি বগির উপর উঠে যায় আরেকটি। শোনা যাচ্ছে, জলেতে

পড়ে গিয়েছে একটি বগি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ১২ টি কামরা। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

জানা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে  উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের কর্মকর্তারা। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক চলাকালীন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দ্রুত আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। উলটে যাওয়া বগি কেটে বের করা হচ্ছে যাত্রীদের। শোনা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথমদিকে উদ্ধার হওয়া আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়িতে। পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে ৩০টি অ্যাম্বুল্যান্স ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে।

ইতিমধ্যেই রেলের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। মৃত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের সন্ধান পেতে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির যাত্রীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে খবর। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ করতে বেশ বেগ পেতে হতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের

Loading