নিজস্ব প্রতিনিধি – রোজকার জীবনে ভালো মন্দ জম্পেশ খানাদানার গুরুত্ব নেহাত কম নয়। জমকালো হোক বা সাধাসিধে ডাল ভাত, হেঁশেলে আগুন কিন্তু দিনের বড় একটি অংশ জুড়ে যৎ জ্বলে। আর নাগরিক জীবনই বলুন বা গ্রামীণ, আজকাল সব জায়গাতেই গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। তবে গ্যাসের দাম এখন আবার আকাশচুম্বী। তাই গ্যাস বাঁচিয়ে কিভাবে অল্প আঁচে বেশি রান্না করা যায় সেটা জানাটা কিন্তু খুবই জরুরি। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি! তাহলে আসুন জেনে নেই, কিভাবে গ্যাস সাশ্রয় করে রান্না করা যায়।

*প্রায় সবাই বলতে গেলে রান্না করার আগে ফ্রিজ থেকে সব তরিতরকারি বের করে কাটাকাটি করেই রান্না বসিয়ে দেয়। যার ফলে সবজির এই ঠাণ্ডা ভাব দূর করে সবজি হতে অনেক সময় লাগে আর সাথে অনেক গ্যাস ও। তাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে না। রান্না করার কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে রান্নার জন্য তরকারি, মাছ, মাংস বের করে রাখুন। পরে কাটাকাটি করে ধুয়ে রান্না বসিয়ে দিন। দেখবেন তাড়াতাড়িই হয়ে যাবে রান্না।

*রান্না বসানোর আগে যেই পাত্রে রান্না বসাবেন সেটি যেন শুকনো থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। আবার ভিজে ভাব থাকলে ও টিস্যু বা কাপড় দিয়ে জল মুছে নিন। এতে পাত্রে যে জল ছিল সেটা শুকানোর জন্য যে বাড়তি গ্যাস খরচ হত সেটা কম লাগবে এবং তাড়াতাড়ি পাত্রটি গরম ও হয়ে যাবে।

*রান্নার পাত্র বসিয়ে গ্যাস বাড়িয়ে দিন। এতে করে পাত্র জলদি গরম হয়ে যাবে পরে জ্বাল কমিয়ে তেল দিয়ে দিন। এতে পাত্র যে গরম হয়েছে সেই তাপে তেল ও গরম হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। ফলে বাড়তি গ্যাস লাগবে না।

*রান্নার শুরুর আগেই গুছিয়ে রাখুন রান্না করার সকল মসলা, তরিতরকারি, যাবতীয় যা যা লাগবে। এতে গ্যাসে পাত্র বসিয়ে বেশি কিছু গুছানো লাগবে না ফলে চটজলদি রান্না বসিয়ে দিলে অল্প গ্যাসে রান্না হয়ে যাবে।

*গ্যাসের খরচ কমাতে ব্যবহার করুন লোহার কড়াই। কেননা লোহার কড়াই যত দ্রুত গরম হয় ঠিক ততোটাই ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়। এতে করে বাড়তি গ্যাসের প্রয়োজন হবে না।তাই অল্প আঁচ করে কম গ্যাসেই রান্না শেষ হয়ে যাবে।

*অনেকেই তরিতরকারি অনেক বড় বড় করে কাটেন। ফলে সেদ্ধ হতে সময় নেই। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস খরচ হয়। তাই এক্ষেত্রে যা করতে হবে, তরিতরকারি গুলো চেষ্টা করবেন ছোট ছোট সাইজে কেটে নিতে।এতে জলদি সেদ্ধ হয়ে যাবে এবং গ্যাস ও খরচ কম হবে।

*দিনের বেশির ভাব সময় অনেকেই বার বার চা বা কফি পান করে থাকেন। আর তাই বেশ কয়েকবার যেতে হয় চুলার কাছে। এতে করে বার বার চা বানানোর জন্য খরচ হচ্ছে বেশি গ্যাস। তাই সাশ্রয় করতে চা বা কফি বানিয়ে রাখতে পারেন ফ্লাক্সে করে। এতে করে চা বা কফি গরম থাকবে ফলে চুলার গ্যাস ও বেশি একটা খরচ হবে না।

*পরিমাণ মতো ঝোলের জল  দিন। এতে করে বাড়তি ঝোল শুকানোর জন্য বেশি জ্বাল এর প্রয়োজন হবে না ফলে গ্যাস কম লাগবে।

*অনেক সময় মাংস, আলু বা অনেক তরকারি ও সেদ্ধ হতে সময় নেই বেশি। সেক্ষেত্রে প্রেশারকুকারে দিলে চটজলদি সেদ্ধ হয়ে যাবে ফলে গ্যাস খরচ ও কম হবে।

 80 total views,  2 views today