নিজস্ব প্রতিনিধি – পাকিস্তানের পেশোয়ারে ১৯২২ সালে জন্ম নেন দিলীপ কুমার। তার আসল নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান, যিনি একজন ফল ব্যবসায়ী ছিলেন। কৈশোরে মুম্বই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিন্তু কিছু বছর সেখানে কাজ করার পর আবারও ফিরে আসেন মুম্বইতে। বাবার সঙ্গে হাত লাগান ফল ব্যবসার কাজে। আর সেই সূত্র ধরে আলাপ হয় সেসময়ের প্রখ্যাত সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে। যিনি তাকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘বোম্বে টকিজ’র মালিকের সঙ্গে। তখনই তার কাছে প্রস্তাব আসে ‘জোয়ার ভাঁটা’য় অভিনয়ের। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করার সময় থেকেই নাম বদলে রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। ১৯৪৪ সালে তার সিনেমায় আত্মপ্রকাশ। ইউসুফ খান থেকে তাকে দিলীপ কুমার নাম রাখতে সাহায্য করেছিলেন তার প্রথম সিনেমার প্রযোজক দেবিকা রানী। সে সময় বলিউডে নাম বদল ছিল বেশ সাধারণ ঘটনা। জনপ্রিয়তা পেতে ছোট নাম বা আকর্ষণীয় নামের পিছনে ছুটতেন অনেকেই। আর দেবিকা রানীও জানতেন, ইউসুফ খান নামটি একজন রোমান্টিক হিরোর জন্য মানানসই হবে না। সুপরিচিত হিন্দি কবি নরেন্দ্র শর্মা ওই সময় বোম্বে টকিজের জন্য কাজ করতেন। তিনি তিনটি নাম প্রস্তাব করেন- জাহাঙ্গীর, ভাসুদেব ও দিলীপ কুমার। ইউসুফ খান এর মধ্যে দিলীপ কুমার নামটিই পছন্দ করেন নিজের জন্য। আর তার নাম পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ ছিল। সেটি হলো- যাতে তার রক্ষণশীল বাবা তার নতুন পেশার কথা না জানতে পারেন। তার বাবা ফিল্ম পেশাজীবীদের নিয়ে খুব একটা চিন্তা করেননি। বরং তিনি তাদের নিয়ে তামাশা করতেন। মজার বিষয় হলো পুরো ক্যারিয়ারে দিলীপ কুমার মাত্র একবার মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং সেটি হলো ‘মুঘল-ই-আজম’।

 254 total views,  2 views today