আপনাদের সকলকেআমার ধন্যবাদ। বিভিন্ন কারণে রাজনীতি ভালো লাগছে না। তাই সরে যাচ্ছি। আপনারা নিজেরা নিজেদের মতো করে ‘নানা’ কারণ খুঁজে নিন। হতে পারে তার সব’কটাই হয়তো সত্যি। হয়তো সত্যিই মনে হয়েছে, আমাকে আর দরকার নেই বিজেপি-র। তাই সরে যাচ্ছি। রাজনীতিতে থেকে, বিজেপি-র কর্মী হিসেবে থেকে কোনও কথা বলে শৃঙ্খলাভঙ্গের চিঠি ধরানোর সুযোগ কারওকে দেব না। অন্য কোনও দলে যখন যাচ্ছি না, তখন ‘‘বিজেপি ছেড়ে দিচ্ছি’’, এই কথাটাও না-ই বা বললাম। আমার বিরোধ তো বিজেপি-র বিরুদ্ধে নয়, দলকে যারা ভুলপথে চালিত করছেন, রোজ রোজ যারা নানা কথা বলে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে।দলের স্বার্থে শুধু আমি নয়, বহু সিনিয়র বিজেপি নেতাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তা জানিয়েছেন। আমার অধিকার সেখানেই শেষ হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তো দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতাদের। স্থান- কাল-পাত্র তাঁরাই ঠিক করবেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী, নরেন্দ্র মোদী’জির দলে পশ্চিমবঙ্গে অনেক কিছুই ঠিক নেই। চুপচাপ বসে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ জড়িয়ে, ‘অমুক-ঘনিষ্ঠ’-‘তমুক ঘনিষ্ঠ’ হয়ে মজা দেখতে পারব না। তাই প্রতিবাদস্বরূপ সরে যাচ্ছি। অনেক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা আগেও করেছি। তাতে যে আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি হতে পারে, তা কি জানতাম না? নিশ্চয়ই জানতাম। কিন্তু দলের বৃহত্তর স্বার্থেই তা বলেছি। নেতারা রোজ রোজ ‘ভেঙে দেব, রগড়ে দেব’ বললে অলিতে-গলিতে দলের গ্রাসরুট লেভেলের ছেলেদের উপরেই যে অত্যাচারটা হয়, বিগত দিনে তা আমরা দেখেছি। কিন্তু শিক্ষা নিইনি। এটাই সত্যি। চোখের সামনে ভাল ভাল যোগ্য নেতাকে সাইডলাইন্ড করে দেওয়া হচ্ছে। অসম্মানিত করা হচ্ছে এবং তাঁরা রাগে-দুঃখে হয় দল ছেড়ে দিচ্ছেন, না হয় দূরে সরে যাচ্ছেন। এটা চলতে পারে না। সামওয়ান হ্যাড টু বেল দ্য ক্যাট। আই অ্যাম ডুয়িং ইট। নো রিগ্রেট্স। (‘ক্যাট’ মানে আবার কোনও ব্যক্তিবিশেষকে বলছি, এটা বলে আবার অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না)।