শান্তি রায়চৌধুরী : নেপালের হিমালয় পাদদেশে দার্জিলিং। একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো উচ্চতম পর্বতশ্রেণি দেখার হাতছানি, অন্যদিকে বৈচিত্র্যময় পাহাড় ভ্রমণের সুযোগ দার্জিলিংকে করেছে অতুলনীয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের এ জেলা দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। খুব শীঘ্রই রেলপথে দার্জিলিং যুক্ত হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে। এর ফলে এ রুট বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের পর্যটনের জন্য খুলে যাবে নতুন দিগন্ত।
ভারতের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ। এই রুট দিয়ে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে আগেই। করোনা সংকটের কারণে বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। তবে দুই দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এই রুটে চালু হতে পারে যাত্রীবাহী ট্রেন, যা সহজ করবে ঢাকা-দার্জিলিংয়ের সংযোগ। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে অন্য রেলপথও খুলে যাবে এই সময়ে। তবে করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে , দীর্ঘ দেড় বছর পর পর্যটকদের জন্য ভিসা চালু করেছে ভারত। ১৫ অক্টোবর থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে পর্যটক ঢুকতে পারছেন। এখনো রেলপথে ভ্রমণের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে প্রস্তুত উভয় দেশ। কাজ চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই ঢাকা- দার্জিলিং এর মধ্যে রেল যোগাযোগ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে এ পথটি বন্ধ হয়। ২০১৫ সালে বন্ধ থাকা রেল লিংক পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ সরকার। সে লক্ষ্যে ২০১৮ সালে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল লিংকটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চিলাহাটি ও চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প ২০১৮ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।