পরকিয়ার অপরাধে প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যুদন্ডের আদেশ  ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। ৬ নভেম্বর, ৩৩ বছর ও ২৭ বছর বয়সী ওই প্রেমিকযুগলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। খবর দ্য জেরুজালেম পোস্ট’র।

অভিযুক্তের স্ত্রী তার স্বামীর সাথে ৩৩ বছর বয়সী এক নারীর প্রেমের সম্পর্কের প্রমাণ পুলিশকে দিয়েছিলেন। তখনই ওই যুগলকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পরে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন । তবে ওই ব্যক্তির শ্বশুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান এবং আদালত তার পক্ষে রায় দেন।

ইরানের আইন অনুযায়ী, যদি ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তির শ্বশুর তাকে ক্ষমা না করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান।

ইরানে ১৯৭৯ সালের পর থেকে ইসলামি আইন মানা হয়। এই আইন অনুযায়ী, ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদণ্ড। তবে ২০১৩ সালে তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই মৃত্যুদণ্ড অন্য মাধ্যমেও দেওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ইরানে ২৪৬টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

 201 total views,  2 views today