নিজস্ব প্রতিনিধি – উচ্চ কর, উচ্চতর ব্যয়’ নীতিগুলো ব্রিটেনের জন্য দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে যুক্তরাজ্য সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক সংসদে বাজেট পরিকল্পনা উপস্থাপণ করার পর এই সতর্কতা দেয়া হয়েছে। নতুন বাজেটে ঋষি সুনাক জনসাধারণের ব্যয় বাড়িয়েছেন এবং জীবনযাত্রার ব্যয় মোকাবেলার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বিভাগীয় ব্যয়ের বিশাল বৃদ্ধি এবং নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য সহায়তার বিবরণ দিয়েছেন। তিনি হোয়াইটহলের জন্য বাজেটে বড় উল্লম্ফন এবং ব্যবসার জন্য ট্যাক্স হ্রাসের পাশাপাশি উচ্চ দক্ষতা এবং মজুরির ভিত্তিতে একটি ‘নতুন অর্থনীতি’ তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এটি কর্পোরেট এবং ব্যক্তিগত ট্যাক্সে পূর্ব ঘোষিত বৃদ্ধির অতিরিক্ত হবে।
তবে অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি (ওবিআর) সতর্ক করে দিয়েছিল যে, এটি ১৯৫০ সালের পর থেকে সামগ্রিক করের বোঝাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফেলে দেবে, যখন ক্লিমেন্ট অ্যাটলির যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসন চূড়ান্ত সময়ে প্রবেশ করছে। ওবিআর সতর্ক করেছে যে, সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি ৪ দশমিক ৪ শতাংশে লাফিয়ে উঠতে পারে ও আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং ‘তিন দশক ধরে যুক্তরাজ্যে দেখা সর্বোচ্চ হারে’ আঘাত করতে পারে। ব্রিটেনের অর্থনীতি মার্চে প্রত্যাশিত চারটির প্রাথমিক প্রক্ষেপণের পরিবর্তে এই বছর ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু একটি নতুন সতর্কবার্তায় বো গ্রুপ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বেন হ্যারিস-কুইনি বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী করের বোঝা ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছেন এবং রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে, এই পলিসিগুলির জন্য গড়ে পরিবার প্রতি বছরে ৩ হাজার পাউন্ড খরচ হবে।’