নিজস্ব প্রতিনিধি – দুই দফায় ভারতে ১২২৭ টন ইলিশ রপ্তানি ফাইল ছবি এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির কথা থাকলেও দুই দফায় মোট এক হাজার ২২৭ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। সেই হিসেবে তিন হাজার ৩৭২ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন করে মোট চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। প্রথমে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ৩ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হয় মাত্র এক হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন।এরপর ২৬ অক্টোবর ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর ২৮ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯০ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা গেছে।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) পর্যন্ত ভারতে ৯০ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এর আগে, প্রথম দফায় গিয়েছিল এক হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন ইলিশ। সরকারি হিসেবে তিন হাজার ৩৭২ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা যায়নি। ইলিশ রপ্তানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার কথা ছিল। কিন্তু বাজারে ইলিশ সংকট ও মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবার অতিরিক্ত অনুমতি দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে সরকার। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে।

 

 

 

Loading