নিজস্ব প্রতিনিধি – পশ্চিমবঙ্গের বৃত্ত পেরিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলটি শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছে আগামী সোমবার।
জানা যায়, এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। ওই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ ওয়ার্কিং কমিটির ২১ সদস্যকেই উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে দলের পরিকল্পনা কী হবে, সে কথাই বৈঠকে জানাবেন মমতা এবং অভিষেক। এ ছাড়া সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা নেবেন, তাও ঠিক করে দেওয়া হবে। সামনে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন রাজ্য নির্বাচনের আগে তৃণমূল নিজেদের গুছিয়ে দিল্লির সিংহাসনে বসার স্বপ্ন দেখছে।
এদিকে গত কয়েকমাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সর্বভারতীয় স্তরের কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তাদের অন্যতম হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশোক তানওয়ারকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের মুখপত্রে বলা হয়, দলের বাকি নেতাদের সঙ্গে তাকে (অশোক) আলাপ-পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।
২০২১ সালের মার্চে তৃণমূলে যোগ দিয়েই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যপদ পান অটলবিহারী সরকারের বিদেশ এবং অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা। এর পর গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসামের প্রাক্তন সংসদ সদস্য সুস্মিতা দেব, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর পৌত্র এবং প্রপৌত্র, রাজেশপতি এবং ললিতেশপতি। এদের মধ্যে ফেলেইরোকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি করা হয়। ফেলেইরো এবং সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। এদিকে মমতার সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের সময় অশোক ছাড়াও প্রাক্তন
জাতীয় ক্রিকেটার এবং সাবেক বিজেপি সংসদ সদস্য কীর্তি আজাদ তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও বিজেপি থেকে আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আজাদ। এর পর তিনি এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। এ সময় সাবেক জেডি (ইউ) সংসদ সদস্য পবন বর্মাও তৃণমূলে যোগ দেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের ঘটনা হয়ে এসেছে মেঘালয়ের ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানায়, এ পরিস্থিতিতে দলকে সর্বভারতীয় চেহারা দিতে তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়াদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরের সদস্যপদ বা আমন্ত্রিত সদস্য করা হতে পারে।