নিজস্ব প্রতিনিধি – যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে অভিভাবকের অনুমতি না নিয়ে এক ছাত্রীর চুল কেটে দেওয়া হয়। এরপর স্কুল ও দুই শিক্ষকের নামে ১০ লাখ ডলার (সাড়ে আট কোটি টাকা প্রায়) ক্ষতিপূরণ ও বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে মামলা করেছেন সাত বছরের ওই শিশুর বাবা। তার অভিযোগ, চুল কেটে দেওয়ার মাধ্যমে সন্তানের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামালার বাদীর নাম জিমি হফমেয়ার। চুল কেটে দেওয়ার জেরে এরই মধ্যে তিনি মেয়েকে ওই স্কুল থেকে বের করে নিয়েছেন। জিমি বার্তা সংস্থা এপি-কে জানান, গত এপ্রিলে একদিন তার মেয়ে জুরনি স্কুল থেকে চুলের একাংশ কাটা অবস্থায় বাসায় ফেরে। শিশুটি জানায়, বাসের মধ্যে এক সহপাঠী তার কোঁকড়া চুলের কিছু অংশ কেটে দিয়েছে। পরে সেলুনে গিয়ে চুলের কাট ঠিক করে আনা হয়। এর দুদিন পরে জুরনি আবার মাথার অন্য পাশের চুল কাটা অবস্থায় বাসায় ফেরে। জিমিরা ভেবেছিলেন, এবারও হয়তো কোনো সহপাঠী দুষ্টুমি করে চুল কেটে দিয়েছে। কিন্তু জিজ্ঞেস করলে জুরনি জানায়, এবার এক শিক্ষক তার চুল কেটেছেন। এ ঘটনায় সম্প্রতি পশ্চিম মিশিগানের ফেডারেল আদালতে মাউন্ট প্লিজ্যান্ট পাবলিক স্কুল ও এর দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন জুরনির বাবা। এতে শিশুটির সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি জাতিগত বৈষম্য, ভীতি প্রদর্শন, ইচ্ছা করে মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া, হামলা ও আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য ঘটনার পর তদন্ত করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছিল, ওই শিক্ষক স্কুলের নিয়ম লঙ্ঘন করলেও কোনো বর্ণবৈষম্য করেননি। এ জন্য তাকে তিরস্কার করা হয়, তবে চাকরি যায়নি। মামলার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Loading