মাির্কন যুক্তরাষ্ট্রের চলন্ত ট্রেনে এক নারীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে।  ট্রেনে অন্য যাত্রীরা কিছুই না করে চুপচাপ বসে ধর্ষণের ঘটনা দেখছিল।  ফিলাডেলফিয়ার শহরতলিতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর এনবিসি নিউজের।

পুলিশের সূত্রে  বলা হয়, শুক্রবার ৩৫ বছর বয়সী এক নারী চলন্ত ট্রেনে ধর্ষিত হয়েছেন। যাত্রীরা সবাই দেখল তাদের চোখের সামনেএক নারী ধর্ষিত হচ্ছেন।  ট্রেনে ৯১১জন যাত্রী ছিলেন। কিন্তু ওই নারীর সহায়তার জন্য কেউ এগিয়ে আসলেন না, কেউ বাধা দিল না। কেউ ওই ঘটনার প্রতিবাদও করলেন না।

এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাদের ‘কিছু করা উচিত ছিল’। আপার ডার্বি পুলিশ বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট টিমোথি বার্নহার্ড বলেন, মার্কেট-ফ্রাঙ্কফোর্ড লাইনে পশ্চিম দিকে যাত্রা করা একটি ট্রেনে এক নারীর ওপর হামলার পর পুলিশ অফিসারদের বুধবার রাত দশটার দিকে ৬৯তম স্ট্রিট টার্মিনালে ডাকা হয়েছিল। বার্নহার্ড বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব পেনসিলভানিয়া পরিবহন কর্তৃপক্ষের (সেপটা) একজন কর্মী, যিনি ট্রেনটি অতিক্রম করার সময় আশে পাশেই ছিলেন, তিনি পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে ট্রেনে থাকা একজন নারীর সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে।

পরবর্তী স্টেশনে অপেক্ষায় থাকা সেপটা ট্রেনে পুলিশ ওই নারীকে খুঁজে পায় এবং ধর্ষক ফিস্টন এনগয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীকে উদ্ধারের পর পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বার্নহার্ড ভিকটিমকে একজন ‘অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী নারী’ বলে অভিহিত করেছেন, যিনি পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছেন। তিনি ধষর্ণকারীকে চিনতেন না।

বার্নহার্ড বলেন, ‘তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন’। আশা করি তিনি এই ট্রমা কাটিয়ে উঠবেন।

বার্নহার্ড বলেন, পুরো ঘটনা নজরদারি ক্যামেরার ভিডিওতে রেকর্ড হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় ধর্ষণের সময় ট্রেনে আরও অনেক যাত্রীই ছিল।   মতে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল; কারও কিছু করা উচিত ছিল’। এ ঘটনা থেকে আমাদের সমাজ কোথায় আছে তা বোঝা যায়; আমি বলতে চাচ্ছি, পৃথিবীর কোন দেশে কে প্রকাশ্যে এমন কিছু ঘটতে দেবে? তাই এটা উদ্বেগজনক’। তিনি বলেন, এটা বিরক্তিকর। আমি হতবাক, আমি বাকরুদ্ধ। যাত্রীরা নিজের চোখ দিয়ে যা দেখছে তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না এবং তারা এই নারীর ওপর কী চলছে তা দেখেও কেউ এগিয়ে এসে তাকে সাহায্য করল না’।

Loading