নিজস্ব প্রতিনিধি – তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার! আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে দেশটিতে এই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে ভারত। যে অর্থ দিয়ে তৈরি হয়েছে বাঁধ, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে আফগান পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত। এই বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে কৌশলগত কারণে দেশটিতে নিজের প্রভাব বাড়িয়েছিল দিল্লি। তবে রবিবার তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। শঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে। রবিবার দৃশ্যত বিনা বাধায় কাবুলের দখল নেয় তালেবান। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি। ফলে ২০ বছর ধরে দিল্লি ও কাবুলের মধ্যে যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠছিল তা ধাক্কা খেতে চলেছে। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা তৎকালীন তালেবান সরকারকেও স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ৯/১১ হামলার পর কাবুলে প্রভাব বাড়াতে তৎপর হয় দিল্লি। ২০১১ সালে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। তারপর থেকে পরিকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাঁধ নির্মাণে অর্থ-সহায়তা দিতে শুরু করে ভারত। ২০২০ সালে নভেম্বরে জেনেভা শীর্ষ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, আফগানিস্তানের এমনও কোনও অংশ নেই যেখানে ভারত নেই। ৩৪টি প্রদেশে চলছে ৪০০-টিরও বেশি প্রকল্প।

Loading