নিজস্ব প্রতিনিধি – পূর্ব আফগান শহর জালালাবাদের উপকণ্ঠে কয়েকদিন পরপর মরদেহ ফেলা হয়। নিহতদের মধ্যে কাউকে গুলি, কাউকে ফাঁসি অথবা কাউকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের পকেটভর্তি হাতে লেখা নোট, যাতে লেখা, তারা ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখার সদস্য। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের দায় নিচ্ছে না কেউ। তবে ধারণা করা হয়, এতে তালেবানেরই হাত রয়েছে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় আইএস। এ ঘটনায় ১৫০ জনের বেশি নিহত হন। তালেবানের অন্যতম শত্রু বলে বিবেচনা করা হয় আইএস’কে। এ গোষ্ঠী দুটি বর্তমানে আফগানিস্তানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত। বিশেষ করে, দেশটির জালালাবাদে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানিস্তানে আগের তুলনায় তুলনামূলক শান্তি ফিরেছে। কিন্তু জালালাবাদে তালেবান সদস্যরা ক্রমাগত হামলার শিকার হচ্ছেন। তালেবান আগে যেভাবে আত্মঘাতী হামলা চালাতো, এখন আইএস একই কৌশলে হামলা চালাচ্ছে। তলেবান যথেষ্ট কট্টরপন্থি না হওয়ায় আইএস তাদের ‘মুরতাদ’ আখ্যা দিয়েছে। অন্যদিকে, তালেবান আইএস’কে ‘ধর্মদ্রোহী চরমপন্থি’ বলে অভিহিত করেছে।

Loading