আঁখি
কলমে – নীলিমা চ্যাটার্জী
বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
ঝরা পাতা তুমি যাও এখন
গাছে তে নতুন কলিরা এসেছে
আকাশে দেখ হাসি
সুর সানাইয়ের বাঁশি
নদীতে নৌকারা ভেসেছে।
দূরেতে কারা আসে
ফিস ফিস কথা পাশে
সকালে-রবির আলোকে
বধুরা কলসি কাঁখে
ঐ যে গলি বাঁকে
গাড়ি চালাই ঐ চালোকে।
দেখো দেখো কেমন
তোমরা ও তেমন
বৃদ্ধটি যেন কাঁপিছে
থর থর কাঁপে
তাকে বুকে চাপে
বৃদ্ধটি দেখো দাপিছে।
নাতি ছুটে আসে
যায় দাদুর পাশে
কত লোক মজা দেখে
ছেলে নাই কাছে
নাতি দাদু আছে
দাদু গুরু,নাতি শেখে।
বাতাস বহে চারিদিক
রৌদ্র ঝিকিমিক
এর ই মাঝে দাদু ফেলে শ্বাস
পাখিদের কিচিমিচ
মিনুর মিট মিট
নাতির ভরেতে দাদুর উচ্ছাস।
রাখাল বাজায় বাঁশি
বালিকার হাসাহাসি
শোনা যায় ডাকা ডাকি
অস্ততে যায় রবি
আঁকছে তোমায় কবি
কত কাজ! নেই তবু ফাঁকি।
রবি যায় অস্ত বধুরা যে ব্যস্ত
ঝট পট কলসী কাঁখে
ঘোমটায় মুখ ঢাকে
কাশফুলের ফাঁকে ফাঁকে
পাখির কুজন গাছের ঐ শাখে।
গোধূলির সন্ধ্যাতে
ঋষিদের মন্ত্রতে
ধূপ -দীপ বধুদের হাতে
কলরব বন্ধতে মুনিদের যঞ্জতে
রবি নতুনে উঁকি মারে প্রাতে।।