নিজস্ব প্রতিনিধি- নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে শিবসেনা।
শিবসেনার পক্ষ থেকে এটিকে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় রসিকতা বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। শিবসেনার দাবি, এরফলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার জন্য বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের ১০/২০টি আসনে ফল ভোগ করতে হবে।
রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেখানে প্রচারে গিয়ে আহত হন তিনি। ওই ঘটনার নেপথ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপি এব্যাপারে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
শিবসেনার দলীয় মুখপত্র ‘সামানা’য় বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ফেলতে সব ধরণের প্রচেষ্টা চলছে। তবুও পশ্চিমবঙ্গে মমতার ক্ষমতা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে লড়াই এখন মোদি বনাম মমতায় পরিণত হয়েছে। গোটা বিশ্ব পশ্চিমবঙ্গকে দেখছে।’
শিবসেনার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হিন্দু বিরোধী প্রতিচ্ছবি’ তৈরি করে ভোট চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে মমতা বলেছেন, ‘ ব্রাহ্মণ, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাকে হিন্দু ধর্ম শেখাবেন না।’ নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে ও শরীরের অন্যত্র আঘাত পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বার্তায় প্রয়োজেন হুইলচেয়ারে প্রচার করার বলেছেন। শিবসেনা মনে করছে, এতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। কারণ এরফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহানুভূতি পেয়ে যেতে পারেন বলেই আশঙ্কা বিজেপির।
এদিকে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষক নেতারা বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ (শুক্রবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, বিজেপি’র নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের উপরে কাঁদানে গ্যাস এবং পানিকামান চালানো হয়েছে, মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। বিজেপিকে ‘কৃষক বিরোধী’ বলে অভিহিত করে কৃষক নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি দলটি বোঝে শুধু আসন সংখ্যা এবং ক্ষমতা। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে যাতে একটিও ভোট না দেওয়া হয় বাংলার কৃষকদের প্রতি আবেদন জানান তারা। ইলেকট্রনিক ভোট যন্ত্রের মাধ্যমে জবাব দিয়ে বিজেপির দর্পচূর্ণ করতে হবে বলেও দিল্লির কৃষক আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা মন্তব্য করেছেন।