নিজস্ব প্রতিনিধি – ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, খোদ মোহনদাস গান্ধীই স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস দলটিকে ভেঙে দেয়ার কথা বলেছিলেন। গান্ধী আসলে কংগ্রেস-মুক্ত ভারতই চেয়েছিলেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই মোহনদাস গান্ধীর নির্দেশিত অহিংস সত্যাগ্রহের পথেই ফিরতে চাইছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
রান্নার গ্যাস, পেট্রল-ডিজ়েল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ১৪ নভেম্বর থেকে কংগ্রেসের ‘জন জাগরণ অভিযান’ শুরু হচ্ছে। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই অভিযানে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা সাত দিনের জন্য পদযাত্রা করবেন। সে সময়ে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের জন্য গান্ধী টুপি মাথায় দেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। গান্ধীর পদযাত্রার আদলেই কংগ্রেসের এই পদযাত্রায় বড় জনসভার বদলে ছোট ছোট বৈঠকের আয়োজন করা হবে। সেখানে মূল্যবৃদ্ধি ও আমজনতার জীবনে তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জন জাগরণ অভিযানের ‘লোগো’ হিসেবে গান্ধীর ডান্ডি অভিযানের ছবিই বেছে নেয়া হয়েছে। দলিত, অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ তো বটেই। এই অভিযানে মহিলাদের অংশগ্রহণে জোর দিতে চাইছে কংগ্রেস। ডান্ডি অভিযানের মতোই। মানুষের সমস্যা নিয়ে টানা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে সনিয়া গান্ধী দিগ্বিজয় সিংহের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই দিগ্বিজয় বলেন, ‘লবণের উপরে কর চাপানোর প্রতিবাদে গান্ধী ডান্ডি অভিযান করেছিলেন। আমরা গ্যাস, জ্বালানিতে কর চাপানোর বিরুদ্ধে জন জাগরণ অভিযান করছি। যখন গান্ধীজি ডান্ডি অভিযানের পরিকল্পনা করেন, অনেকেই সংশয়ে ছিলেন। গান্ধীজি বলেছিলেন, মহিলারা ঠিক এতে যোগ দেবেন। সেটাই হয়েছিল। ডান্ডি অভিযানে অংশগ্রহণকারী ৩৯ হাজার মানুষের মধ্যে ১৯ হাজারই ছিলেন মহিলা।’
88 total views, 4 views today