আগামী বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে লড়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভার সাগরদিঘি আসনে দলের পরাজয়ের পর এসব কথা বলেন মমতা।

সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বিপুল বিজয় পান বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এ আসনের ফলাফল হজম করতে পারেনি তৃণমূল। কারণ, সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের বড় একটি শক্তি। সেখানেই ধসের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতিকে মেনে নেয়নি। তারই প্রতিচ্ছবি এবার ফুটে উঠেছে সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফলে।

এই আসনের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি রাজ্যের একজন মন্ত্রীও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে এবার সেই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুব্রত সাহা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯৫ হাজার ১৮৯টি ভোট পেয়েছিলেন। আর সেই আসনে ওই বছর কংগ্রেস প্রার্থী শেখ মো. হাসানুজ্জামান পেয়েছিলেন ৩৬ হাজার ৩৪৪টি ভোট। মাত্র দুই বছরের মধ্যে এবার সেই আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ ব্যানার্জি ভোট পান ৬৪ হাজার ৬৩১টি। আর বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কংগ্রেস নেতা বায়রন বিশ্বাস ভোট পান ৮৭ হাজার ৬১১টি। তৃণমূলের ভোটসংখ্যা এত নিচে নেমে আসায় মমতা থেকে তৃণমূলের নেতাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি, তৃণমূলের দুর্নীতিই মমতার দলকে ভোট না দেওয়ার অন্যতম কারণ।

এসব চিন্তাভাবনা করে গতকাল সাগরদিঘি আসনের ফলাফল ঘোষণার পর মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে মমতা একাই লড়বেন, কোনো জোটে যাবেন না। এর আগে মমতা বিভিন্ন সময় মোদিকে হটানোর লক্ষ্যে মোদিবিরোধী জোট গড়ার বারবার উদ্যোগ নিলেও সফল হননি। তাই মমতা আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছেন, মোদিকে হটানোর লক্ষ্যে আর তিনি কোনো জোটে যাবেন না।

মমতার এই ঘোষণার পর কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, মমতার এই ঘোষণা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

_________________________________________________________________________

 

 194 total views,  6 views today