জন্মাষ্টমী তিথির মাহাত্ম্য

প্রফেসর ডক্টর কুশল সেন

Vice Principal

Astrological Research Institute of Krishnamurthi paddhati
Agartala Tripura
Niti Aayog, Govt. of India.

সদস্য, মার্গদর্শক মন্ডল, ভারতীয় বৈদিক জ্যোতিষ সংস্থানম্‌, বারানসী

Prof. Dr. Koosal Sen

e-mail :  kooshoeg@gmail.com

 

বিষ্ণুপুরান অনুসারে আজ থেকে প্রায় ৫২৫১ বছর আগে (১৮ জুলাই ৩২২৮ বিসি) ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে, রোহিনী নক্ষত্রে, বুধবার রাত ১২টায় শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার রূপে মথুরায় রাজা কংসের কারাগারে দেবকী ও বসুদেবের অষ্টম গর্ভের সন্তান রূপে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রবাদ অনুসারে বলা হয় – অষ্টম গর্ভের সন্তানরা অত্যন্ত কৃতি ও যুগাবতার পুরুষ হিসাবে সমাজে খ্যাতি লাভ করেন। অত্যাচারী রাজা কংসের হাত থেকে কৃষ্ণকে রক্ষা করতে প্রচন্ড বৃষ্টির রাতে যমুনা নদী পেরিয়ে বৃন্দাবনে যশোদা ও নন্দগোপ এর সংসারে রেখে আসেন বসুদেব।

‘জন্মাষ্টমী’ হল অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার উৎসব। বিশ্বস ও একতা একাধারে ধরে রাখতে জন্মাষ্টমী উৎসাহ প্রদান করে। কথিত আছে বৃন্দাবনের শ্যামকুন্ড ও রাধাকুন্ডে স্নান করলে সর্বতীর্থ স্নানের পূণ্যার্জন হয়।জন্মাষ্টমী শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্য শশা নিবেদন করার প্রথা বিরাজমান হয়। জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে শশা নিবেদন করার প্রথা বিরাজমান, মনে করা হয় শশা পেলে অত্যন্ত প্রীত হন নন্দলাল (কৃষ্ণ) যে ভক্ত তাঁকে শশা নিবেদন করেন তাঁর যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট তিনি মোচন করেন এমনই প্রচলিত বিশ্বাস। জন্মাষ্টমী তিথিতে ঠিক রাত ১২টায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মক্ষণে শশা কাটার প্রথাকে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের থেকে নাড়ি গ্রন্থি কাটার রূপক বলে মনে করা হয়।শ্রীকৃষ্ণের জন্মগ্রহণের পর নন্দগোপ সকলকে উপহার বিতরণের কাহিনী উদ্‌যাপন করতে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পর বহুস্থানে নন্দোৎসব পালন করা হয়।

শ্রীকৃষ্ণের বয়স যখন ৮৯ বছর তখন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়েছিল ৩১৩৯ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে শুক্ল একাদশী তিথিতে। শ্রীকৃষ্ণের আটজন বিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন – রুক্ষ্মিনী, সত্যভামা, জাম্ববতী, কালিন্দী, মিত্রাবন, নগ্নাজিতি, ভদ্রা ও লক্ষণা,

বাস্তুশাস্ত্র মতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের অব্যবহিত পরেই ঝাঁকায় বসিয়ে বসুদেবের বন্যাপ্লাবিত যমুনা নদী পারাপারের দৃশ্য গৃহের উত্তর দিকের দেওয়ালে লাগালে জীবনে কঠিন থেকে কঠিনতর সমস্যা থেকে পরিত্রাণের প্রেরণা জোগায়।

Loading