স্বপ্নদর্শনের উপকারিতা ও কয়েকটি স্বপ্নের আসল অর্থ

প্রফেসর ডক্টর কুশল সেন

অধ্যাপক (ফলিত সংখ্যাতত্ত্ব), Astrological Research Institute of Krishnamurti Paddhati (ARIKP)

সদস্য, মার্গদর্শক মন্ডল, ভারতীয় বৈদিক জ্যোতিষ সংস্থানম্‌, বারানসী

e-mail :  kooshoeg@gmail.com

আমরা সকলেই প্রায় প্রতিদিনই ঘুমের মধ্যে কিছু না কিছু স্বপ্ন দেখি। ঘুম ভাঙলে কিছু স্বপ্ন মনে থাকে আবার কিছু স্বপ্ন মনে থাকে না। এর মধ্যে এমন কিছু স্বপ্ন থাকে যা আমাদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে। এই সমস্ত স্বপ্নের ফলাফল নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখছেন বিশিষ্ট জ্যোতিষ, সংখ্যাতত্ত্ববিদ, বাস্তুবিদ  অধ্যাপক ডঃ কুশল সেন

(শেষাংশ)

আমরা সবাই কমবেশি স্বপ্ন দেখি; প্রতি রাতে তিন থেকে ছয়বার মোটামুটি স্বপ্ন আসে। সাধারণভাবে আমাদের প্রতিটি স্বপ্নের দৈর্ঘ্য হয় পাঁচ থেকে কুড়ি মিনিট। একটি স্বপ্নের ৯৫ শতাংশ অংশ একজন মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর ভুলে যান। অন্ধ মানুষের স্বপ্ন স্বদেন্দ্রিয় এবং শ্রবনেন্দ্রিয় ঘেঁষা হয়ে থাকে।

সাধারণতঃ যেকেনো স্বপ্নই হয় মূলতঃ নিজেকে ঘিরেই। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বপ্ন অটোবায়োগ্রাফিকাল।এইসব ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগতভাবে নিজের চরিত্র হিসাবে রেখেই স্মৃতি, আবেগ, দৃশ্য ইত্যাদি স্বপ্নের রসদ পৌঁছে দেয়। মহিলাদের মধ্যে পরিবারের অন্যান্য সদস্য, বাচ্চা, ঘরের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা নিয়ে স্বপ্ন দেখার প্রবণতা ছেলেদের বা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশী।

মনোবিজ্ঞানের গভীরতর গবেষণায় দেখা দিয়েছে, ৩০ বছরের ঊর্ধে মানুষ বেশিরভাগ রঙীন স্বপ্ন দেখেন; ৬০ বছরের ঊর্ধে বয়সের মানুষ অবশ্যই স্বপ্নে রঙের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আর ছোটো বাচ্চাদের মধ্যে সাদা-কালো স্বপ্ন দেখার প্রবণতা অনেক বেশী।

আবার এমন কতগুলি বিশেষ ধরণের স্বপ্ন আছে, যা কোনো মানুষ যদি   দেখে তা কোনোভাবেই অন্য কাউকে বলা উচিত নয়; বরঞ্চ নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেওয়া শ্রেয়, কারণ এই ধরণের স্বপ্নগুলি কোনো বিশেষ ধরণের সংকেত বহন করে। মনোবিজ্ঞান ও স্বপ্ন বিজ্ঞানের ভাষায়; নিজের শরীর থেকে প্রাণশক্তির পৃথকীকরণ এর প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘অ্যাস্ট্রাল ট্রাভেল’ আবার কোয়ান্টাম থিওরি অনুসারে, বলা হয় ঘুমিয়ে পড়লেও মস্তিষ্ক জাগ্রত থাকে Rapid Eye Movement (REM)-এর ক্ষেত্রে।

(১) সবুজ ধানক্ষেত বা ধানের গোলা – অতি শীঘ্রই কোনো মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তি ও পদন্নোতির যোগ।

(২) সূর্য, তারা, বিশ্ব ব্রহ্মান্ড – ইড়া-পিঙ্গলা-সুষুম্না নাড়ী জাগ্রত হয় ফলে তা মানুষকে যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

(৩) নিজের বাবা অথবা মা – আপনার উপরে সমস্ত দেবদেবীর আর্শীবাদ আছে, জীবনে অত্যন্ত ভালো কিছু হওয়ার যোগ।

(৪) তীর্থস্থান বা মন্দির – অতি শীঘ্র জীবনের যাবতীয় মনোস্কামণা পূর্ণ হবে।

(৫) প্রবাহিত নদী – প্রচূর অর্থ উপার্জনের যোগ।

(৬)ফলভর্তি গাছ বা গাছ থেকে ফল পাড়তে দেখা – প্রচূর অর্থপ্রাপ্তি

(৭) জাল বা ছিপ দিয়ে মাছ ধরা – যেকোনো মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি, অত্যন্ত শুভ সময় আসছে।

(৮) নিজেকে নাচতে দেখা, রামধনু, আনন্দ করতে দেখা বা মধু খেতে দেখা – বিবাহের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ।

(৯) শিবমন্দির বা শিবালয় – জীবন থেকে যাবতীয় শারীরিক সমস্যার সমাধান; হিন্দু শাস্ত্র মতে শিবের স্বপ্ন আরোগ্য লাভের সঙ্কেত।

(১০) ঘোড়ার দৌড় – যশ; খ্যাতি; প্রতিপত্তি ও সুনাম বৃদ্ধি এবং সফলতা বৃদ্ধি সর্বদিকে। পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা লাভ হবে।

(সমাপ্ত)

 

ডঃ কুশল সেনের পরবর্তী নিবন্ধ প্রকাশিত হবে অতি শীঘ্রই।

Loading