শুভ জন্মদিন

কলমে  – সুমিতা পয়ড়্যা

কল্যাণী, নদীয়া

 

চ্ ক্যেনে চাঁড়ে চাঁড়ে  চ্

আজ পতাকাটা ফড়ফড় করে উইঠব্যেক্ আকাশটতে

জলদি চ্ রে বাপ্ জলদি চ্।

ক্যানে বাপ্, আজ কি ট্ রে!

চল ন্; গেইলেই দেইখথে পাবিক্ —-

আজ মহাপুরুষটর জন্মদিন বটে

কে রে বাপ?

চ্ ন্ গেইলেই দেইখতে পাবিক!

উপস্থিত সকল বন্ধুগণ আজ আমাদের প্রিয় নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন।

আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি আমাদের প্রিয় নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে।

পতাকা  উত্তোলনের মাধ্যমে আমরা সকলে “জয় হিন্দ”; “বন্দেমাতরম”বলবো।

তোমরাও সকলে সঙ্গে সঙ্গে বলবে—বুঝতে পেরেছ।

হ,হ,বুইঝেছি বাবু;তুমিহি বলো ক্যেনে

“জয় হিন্দ”; “বন্দেমাতরম” ধ্বনি প্রতিধ্বনি হল আকাশ বাতাস জুড়ে—-

আর হবে নাই বা কেন?

এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তের সমস্ত জগৎ জুড়ে বড় বড় চোঙ।

ওরা ওই মহাপুরুষ সম্পর্কে এটুকুই জানে

জানে না অমন মহান পুরুষের জন্মদিন কি,

মৃত্যুদিন কি কিংবা অন্তর্ধান রহস্যই বা কি!

কেনইবা গোটা ভারত দেশ নায়ক বলে শ্রদ্ধা জানাই

কেনইবা অমন ব্যক্তিকে মহান বলা হয়

কেন তাঁকে নেতাজি রূপে আখ্যায়িত করা হয়!

রহস্যের মোড়কে আড়াল হয়ে আছে আসল সত্য

তা তো ওদের জানবার কথাও নয়!

শুধুমাত্র এক মহান পুরুষের ভাবমূর্তির ধারণা ছাড়া আর কিছু নেই ওদের কাছে।

আর কি বলবে প্রিয় নেতাজি সম্পর্কে?

তথ্যের সমৃদ্ধ হতে গেলে জ্ঞানের আলোকে পৌঁছতে লাগে দীর্ঘ বছর মাস কাল

তা তো ঝুলিতে বন্দী!

তাই মুহূর্তে যে শব্দগুলো আকাশ বাতাসকে ধ্বনিত করে তোলে তা হল—“অনুপ্রেরণা”; আরো এমন কিছু উচ্চারণ

যা এক লহমায় পৌঁছে যাচ্ছে এই প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।

কি অপূর্ব শোভা নেতাজির ছবিতে মালা দিয়ে নেতাজি কে স্মরণ করা!

বিস্মিত জনগণ; বিস্মিত স্বপ্ন

কেউ কোন কথা বলছে না; শুধু শুনছে আর শুনছে

যিনি প্রাণের স্পন্দনকে জাগিয়ে তুলতেন—

যিনি অনায়াসে বলতে পারতেন,”তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”।

যিনি স্বাধীনতার জন্য বজ্রকন্ঠে হুঙ্কার দিতে পারতেন এক লহমায়

যিনি স্বপ্ন দেখাতেন মুক্তির

যিনি অশ্বাদিত করতেন স্বাধীনতার

সেই বীর সেনানায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্রের দেশ এই ভারত বর্ষ।

আজও সকল মানবতার হৃদয়ে বিরাজমান।

এখনো সে আসছে শুনলে মানুষ কিছু ঘুরে তাকাতে একবারও দ্বিধাবোধ করবে না।

যার বীরত্বের অমরতায় মানুষ এখনো বিশ্বাস রাখে—

ফিরে আসবেন; খুব শীঘ্রই ফিরে আসবেন!

একশো ত্রিশ কোটি মানুষের দেশ ভারত বর্ষ এখনও তাঁকে বরণ করবে বলে অপেক্ষা করে আছেন!

ফিরে এসো বীর সুভাষ।

তোমার অমরত্বের দাবিতে তুমি আবার ধরণীর কোলে মাথা সোজা রেখে উঠে দাঁড়াও

আবার সেই কণ্ঠের দাবিদার হয়ে ঘোষনা কর—

“দিল্লি চলো”; “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”।

না না একটু ভুল হল!

স্বাধীন দেশেই তো আছি; যা তুমি প্রাণের বিনিময়ে, রক্তের বিনিময়ে হাতে তুলে দিয়েছ।

এখন শুধু শিক্ষা চাই।

তবে তো মানুষের জ্ঞান বাড়বে আর চেতনার আলোকে প্রবেশ করবে।

এই যে বড় দুর্লভ!

আপনারা কেউ যাবেন না।

এখন আমরা লাড্ডু,মিষ্টি বিতরণ করব।

সকলে বসুন;কেউ  মিষ্টি না নিয়ে বাড়ি যাবেন না।

সকলে চুপ করে বসুন।

হঁ রে বাপ নেতাজির ছবিট তো দেইখলম্

উয়ার নামট নেতাজি ক্যেনে?

কইত লোক;কইত চিয়ার;প্যাণ্ডেল

ফুইলে ফুইলে ভরা ছবিট; নেতাজি তো ড্যাবড্যাবাই চাঁয়ে আছ্যেক।

উয়াদের ভয় লাইগছেক নায়?

হ্যাঁ রে বাপ নাই বললি, নেতাজি ক্যেনে নাম দিল উয়াকেই!

হে বাপ আমার চাঁড়ে চাঁড়ে চ্

বকবকাইস ন্ বাপ্

এখন কতকটা পথ হাঁইটতে হবেক।

চ্ বাপ্ চাঁড়ে চাঁড়ে চ্.…..।

শুভ জন্মদিন প্রিয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।

             “জয় হিন্দ”;”বন্দেমাতরম”।

Loading