অনুগল্প – গোপন প্রেমালাপ
কলমে – পাপিয়া বসু
হটাৎ লোড শেডিং ,রমা ওরমা চেঁচাচে সুনীল। কিন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি সারা ঘর জুরে অন্ধকার। ঠিক সেই সময় সুনীল বিছানার দিকে জানালা টা খুলেনেয়। এই অন্ধকার আলোয় চারিদিকে বাঁশের ঝাড় লম্বা নারকেল গাছ,আর হালকা বৃষ্টি ভেজা সেঁদা গন্ধ যেন সুনীল কে নিয়ে যায়। অনেক অনেক পিছনে ক্রমশ। ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে সুনীল। সেই বকুল গাছে ফুলের গন্ধ চেনা চেনা।
চেনা মানুষের মুখ,গন্ধ আছে প্রেমা লাপ।কত বানী কত শপথ সব ।সবমূহূর্তে ছবির মত ফুটে উঠেছিল। দিগন্ত প্রকৃতির অন্ধকার পর্দায়।
এই ছাড়না। এঅ্যা ভাল হবে না নিলু। চোখ টা ছাড় আরে বোকা মেয়ে। আমি অন্ধ হয়ে গেলে সারা জীবন খাওয়াবে কে জানি।আজ বাবা ছাড় ।আজ আর তোমার কথা। ভাবব না ।ঐ আধ মরা মহিলা কে নিয়ে সাতপাক ঘোরা থেকেই আমি একটা অমানুষ হয়ে পড়েছি।আমার ও তো বাঁচতে ইচ্ছা করে বল।একটা সুস্থ জীবন,সুস্থ সন্তানের মুখ কেনা আশা করেছে।তুই আমাকে বাঁচা নিলু।তুই পারিস এ নরক থেকে উদ্ধার কর।
চেপে থাকা হাত ধীরেআলগা হচ্ছে।হটাত ফোঁটা ফোঁটা দীর্ঘ অভিমানে জমে থাকা অশ্রুস্রোত ছুঁয়ে যাচ্ছিল সুনীল
মুখ বুক হৃৎপিন্ড কেমন যেন চেনা চেনা গন্ধ। ।
কোমল শীর্ন হাতের স্পর্শ-রোগে সরমার বাক্ রোধ।
বধির নয় সে।সেই অজ্ঞাত উপলব্ধির ঘৃণায় লজ্জায় লুটিয়ে পরে সুনীল। একি শুনছে সরমা।তাহলে নিলু___
ঘরের ফোন টাঅন্ করতে করতে হাসিতে লাগল
নীলু।
মানে নীলু সরমার বোন। দুই বছরের এক নতুন সম্পর্ক উড়িয়ে দিচ্ছে খুনসুটি করে।বলল “”কালকে কৃষ্ণ চূড়া এনে দিও আমার জন্য। “কথা না শেষ করেই দিগন্ত মিলিয়ে গেল নীলু।কি দুঃসাহস অথচ সরল সত্য টা কিভাবে অন্ লাইফে ধরে করা আলোয় নিয়ে যাওয়া যায়
বুঝিয়ে দিয়ে গেল ছোট মেয়েটি।