মা

✍️ – কলমে: মহামায়া রুদ্র

বালী , জেলা: হাওড়া

 

“মা” আজ তুমি আকাশের তারা, কিন্তু যেদিন তোমার শীতল ছায়ায় পৃথিবীর বুকে এলাম  …সেদিন

প্রথম তোমার স্নেহের স্পর্শে আমার অস্তিত্ব জানিয়ে ছিলাম “মা “।

তোমার অমৃত সুধায় প্রথম ক্ষুধা তৃষ্ণা মিটিয়ে ছিলে …” মা”।

প্রথম বুকে জড়িয়ে ধরে আদরের চুম্বন  দিয়ে ছিলে সেই তুমি ….মা” ।

এই ছোট্ট ” মা” শব্দটির কোনো বিকল্প আজও হয় নি মা।

জীবন যুদ্ধের হারজিতের কথা ,তোমাকে ছাড়া কাকে বলব মা”? তুমি যে সর্বংসহা ধরিত্রী ।

তোমাকে জীবনের সব কথা অনায়াসে বলতে পারলেই যে শান্তির ঘুম আসে … মা।

যেখানে দুঃখ কষ্টের কথা মুখে বলতে হয় না, অবলীলায় শান্তির ধারা বয়ে যায় সে তো তুমিই…মা”

আমার রক্তে,আমার শিরায় উপশিরায় সুখে দুঃখে ,স্বপ্নে  জাগরণে, চলনে বলনে, তুমি যে একাকার হয়ে আছো… মা।।

আমার একাকিত্বে শুধু তুমি যে আমার ছায়া সঙ্গী ।

মা কি কখনো বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা কথা বলে? তুমি বলতে ইস্কুলে না গেলে খেতে দেব না। আবার তুমি নিজের হাতেই খাইয়ে দিতে স্কুলে না গেলেও।

 মধ্যবয়স পর্যন্ত সমস্ত কথা তোমাকে বলেই আমি আবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়তাম যে মা।

আজও অবচেতন মন

 হাতড়ে বেড়ায় তোমার

স্পর্শ পাওয়ার আশায়।

অনেক ঋণ হয়তো শোধ করে দেওয়া যায় মা ! কিন্তু মাতৃ ঋণ শোধ দেবো কেমন করে বলতে পারো?

তার যে কোনো হিসাব হয়না….মা। তাই আমার মনে হয় মাতৃ দিবস বলে  মায়ের জন্য আলাদা করে কোন দিন হয় না।

মাতৃ দিবস,বছরের সবদিন সব নির্ঘণ্ট জুড়ে থাক ।।

সন্তানেরা -মায়ের মুখে মধুর হাঁসি বাঁচিয়ে রাখুক চিরদিন ।

প্রতি মুহূর্তে উদযাপিত হোক সন্তানের অন্তরে মাতৃ দিবস,

মা …’ তোমাকে জানাই সহস্র কোটি প্রণাম।।

 

Loading