কবিতা- “কিংবদন্তী কন্ঠ সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে”

কলমে – শ্রী সুবোধ চন্দ্র সরকার, এম.কম., এল.এল.বি. (আইনজীবি)

ভুলিবেনা  কেহ কোন দিন হে সঙ্গীত সাধক তব কীর্তি চির মহান,

নীল আকাশের নীচে, রানার, কোন এক গাঁয়ের বধু – সুমধুর গান৷

রাগ যে তোমার মিষ্টি আরও, জীবন পুরের পথিকরে ভাই,

নীড় ছোট ক্ষতি নেই বাংলার ঘরে বাঙ্গালী অন্তরে বাজিছে সদাই৷

কোকিল কন্ঠি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জুড়ি ছিল যাঁর গানের ভেলায়,

তিনিই মোদের কিংবদন্তী কন্ঠ শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়৷

জন্ম তব মাতামহ আবাস বারানসী পবিত্র তীর্থপুন্য ভূমি,

পিতা তব মহান কালিদাস মাতা কিরণ বালার ধন্য সন্তান তুমি৷

হয়েছিল জন্ম তব ১৬ই জুন ১৯২০ আছে সবার স্মরণে,

বাংলা, হিন্দী সহ ভারতীয় নানা ভাষায় পারদর্শী ছিলে নানা গানে৷

ছিলে তুমি রবীন্দ্র সঙ্গীতের শিল্পী সেরা সবার,

নানামুখী নানা ঘরানায় গানে ছিল তব দক্ষতা অপার৷

১৯৪০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচিত্রে গেয়েছিলে প্রথম গান,

১৯৭০ সালে পদ্মশ্রী ১৯৭৩ তে পেয়েছিলে পদ্মভূষণ সম্মান৷

১৯৭২ সালে ভারত সরকার ভূষিত করেন দিয়ে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার,

বিশ্ব ভারতীর ডি.লিট সম্মান পেয়ে চির ধন্য করেছিলে সবাকার৷

১৯৮৬ তে তুমি সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কার করি অর্জন,

বাংলা সহ নানা চলচিত্রে নেপথ্য কন্ঠদান সফল সঙ্গীত জীবন৷

হলিউডের সিনেমায় নেপথ্য কন্ঠদানে বিশ্বে হলে প্রশংসিত,

বাংলার তথা ভারত মাতার সন্তান মোরা তোমার গরবে গর্বিত৷

কর্মজীবনে রেকর্ড তোমার গাওয়া দুই হাজার অধিক গান,

জীবন সঙ্গিনী বেলা মুখোপাধ্যায় ছিলেন তব জীবনান্ত প্রান৷

জয়ন্ত ও রাণু মুখোপাধ্যায় পুত্র কন্যা সহবিশ্ব সংসার ছাড়ি,২৬ সেপ্টেম্বর

১৯৮৯ সালে না যাওয়ার দেশে দিয়েছিলে পাড়ি৷

আজও তোমার বিরহে করিছে ক্রন্দন বিশ্ব ভক্তজন,

ধরার মাঝে তব অমর কীর্তি হে মহান সর্বজন করিবে স্মরণ৷

 

 

 

 

 

Loading