বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে
কলমে – শ্রী সুবোধ চন্দ্র সরকার
এম, কম, এল এল, বি, আইনজীবি
বিংশ শতকের নিপিড়িত মানুষের তুমিই সোচ্চার কন্ঠস্বর,
সাম্যবাদ, মানবতাবাদ, বিদ্রোহ ও প্রেমের কবি, সাহিত্যে অবিনশ্বর ৷
বিদ্রোহী তুমি নটরাজ বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কবি প্রাণ,
তুমিই কথাশিল্পী সঙ্গীত শ্রষ্ঠা ঊর্ধগগনে নিয়েছো স্থান ৷
বিশ্বকবি তোমারে বাঁধতে সেতু আঁধারে দিয়েছিল সুনাম,
তুমিই বাংলাদেশের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম ৷
লিখেছিলে তুমি একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান,
গেয়েছিলে মুসলিম তার নয়ন মণি, হিন্দু তার প্রাণ ৷
গর্জে উঠেছিলে বলে ভেঙে ফেল কারার ঐ লৌহ কপাট,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা শিখিয়ে ছিলে করতে প্রতিবাদ ৷
নিয়েছিলে জন্ম তব ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে আছে সেকথা মনে,
১৮৯৯ এর ২৪ মে চুরুলিয়া গ্রামে জেলা ছিল বর্ধমানে ৷
পিতা তোমার কাজী ফকির আহমেদ মাতা ছিল জাহেদা খাতুন,
২৫ এপ্রিল ১৯২৪ সালে প্রমীলার সাথে বেঁধেছিলে সংসার নতুন ৷
একাধিক ভাইবোনের জন্মের পূর্বে হয়েছিল অকাল মরণ,
তাইতো পিতা-মাতা ‘দুখুমিঞা’ করেন তব নাম করণ ৷
যুক্ত হয়েছিলে লোটো ও কবিগানে অভাবের কারণ,
নিয়েছিলে কাজ রুটীর দোকানে করি বাড়ী থেকে পলায়ন ৷
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পেয়েছিলে আহ্বান,
দ্বিধা করোনি কোন করিতে সৈন্যদলে যোগদান ৷
‘অগ্নিবিনা’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সর্বহারা’, ‘ফণিমনসা’ কাব্যগ্রন্থাবলি,
অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জাগিয়েছিলে তুলি ৷
তাইতো তোমার কবিতা পাঠে স্পন্দন জাগে রক্তে তোলে শিহরণ,
তবুও তুমি মানবতা ও প্রেমের কবি সদাইশুদ্ধ অন্তঃকরণ ৷
কেটেছিল দুঃসহে অন্তিম জীবন হয়ে নির্বাক অপলক চাহনি,
দেশে বিদ্রোহের ঝড় তুলেছিলো তব আপস হীন বাণী ৷
মহাপ্রয়ান হয়েছিল বেশি তোমার ২৯ আগষ্ট ১৯৭৬ সনে,
বিশ্ব জগৎ কেঁদেছিল হারিয়ে তোমার মতো বিদগ্ধ মহাত্মানে ৷