কবিতা- বিদিশার সাথে
কলমে : বিমল রাণা (কুরকুট)
আমি প্রতি রবিবার যাই
মুক্তাঙ্গন জুবিলী পার্কে।
লক্ষ্য করি এক ষোড়শী,
একাকী বসে থাকে।
মুখ মন্ডল দর্শন হয়নি একদিন ও
কারণ বসতো সে বিপরীত দিশায়।
আমার সাহস হয়নি কিছু বলতে,
জেনে নেবো কিছু জিজ্ঞাসায়।
ছমাস কেটে গেল এভাবেই
চিত্ত হতে লাগলো বিচলিত।
জিদ করে গেলাম সম্মুখে,
দেখলাম মুখশ্রী নয় নয়নে আলোকিত।
কুশল সংবাদ নেবো কী,
দেখেই আমি তো নির্বাক।
এক জন্মান্ধ ষোড়শীর নেই কেহ আপন।
এ জগতের সাথে তার অনেক ফারাক।
স্মিত বাক্যে জিজ্ঞাসিলাম তারে,
কম্পিত স্বরে জানাইলো সব কিছু।
কানে কানে বলিলাম যাবে মোর সাথে,
সদা রব আমি তোমারই পিছু পিছু।
জীবন সাথী যদি করি তোমায়
পারবে কি মেনে নিতে।
নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে করিতেছ বাস,
ধুসর পৃথিবীতে একটু প্রশান্তি পেতে।
বিস্ময়ের সাথে সে বললো আমায়,
বলো কী, করবে আমায় তুমি জীবন সাথী?
ধন্য হবে যে আমার জীবন,
পাই যদি এমনি এক সমব্যথী।
হাতে হাত রেখে মোরা,
ধরায় বসবো মুখোমুখি।
অনুরাগের ছোঁয়া পেলে,
মোরা বর না কেউ দুখী।
হাঁতড়ে আমার হাতটি ধরে,
গভীর আবেগে সুধালো।
সত্যি ,তুমি আমার একান্ত আপন হবে,
শুনে মনটা আমার জুড়ালো।