অধিক ব্যয় ও ঋণভার এবং তার প্রতিকার
শ্রী উজ্জ্বল শাস্ত্রী
জ্যোতিষ, তন্ত্র ও বাস্তুবিদ
8017030289
ঋণ মানুষের জীবনে একটা বিভীষিকা স্বরূপ। এই জালে একবার জড়ালে সেই জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা খুবই অসা্ধ্য হয়ে পড়ে। এমনও দেখা যায়, যে ্যক্ত ঋণ কয়েছ তিনি তার জীবদ্দায় ঋণের সুদ গুনতে গুনতে ইহলোক ত্যাগ করেছেন তাও তার ঋণ তিনি শোধ করে যেতে পারেননি। তার পরবর্তী প্রজন্মকেও সেই ঋণভার বহন করে যেতে হয়।
অধিক ব্যয়ের নেশাতেও অনেকের ঋণ হয়ে যায়। এই অধিক ব্যয়ের নেশাও কিন্তু হয়ে থাকে গ্রহগত কারণে। মানুষের জীবনে যাই কিছু ঘটুক না কেন তার পিছনে কিন্তু কিছু না কিছু গ্রহগত কারণ থাকেই। তাই যারা জ্যোতিষ শাস্ত্র চর্চা করেন তাঁরা ব্যক্তির জাতচক্র দেখেই বলে দিতে পারেন। সেই জাদকের কতটা ঋণযোগ এবং কতটা ব্যয়যোগ আছে। ঋণ যোগ বিষয়টি জাতচক্রে বিচার হয় অষ্টমভাবস্থ গ্রহ ও তার বাল্যকাল এবং অন্যান্য গ্রহদের সাথে সম্বন্ধ থেকে। আর ব্যয়ভাবের বিচার হয় দ্বাদশভাবের গ্রহ এবং ব্যয়পতিত অবস্থান থেকে।
স্থায়ী প্রতিকার
(১) একটি তামার পাত প্রথমে এখানে দেওয়া যন্ত্রটি এঁকে দিতে হবে। এরপর যেকোনো মঙ্গলবার ও যন্ত্ বিধি সম্মতভাবে পূজা পাঠ করে গৃহে স্থাপন করতে হবে। স্থাপনের দিন অবশ্যই নিরামিস আহার করা প্রয়োজন। নিরামিষ আহারের অর্থ ময়দা দিয়ে প্রস্তত কোনো খাবার, কোনো তরল জাতীয় পানীয়, মিষ্টান্ন দ্রব্য ইত্যাদি। তবে শুধু স্থাপন করে রাখলেই চলবে না। প্রতি মঙ্গলবার ধূপ, ধুনা দিয়ে এর পূজা পাঠ করা প্রয়োজন। পূজা অর্থাৎ নিজে যেভাবে পারবেন সেভাবেই করবেন। সকালে স্নান করে কিছু পীত পুষ্প যন্ত্রের উপরে দিয়ে ধূপ ও দীপ দেখাবেন এবং সবশেষে ঋণ মুক্তির কামণা করে প্রণাম করবেন। এর সাথে ঋণমোচন মঙ্গলস্তোত্রম পাঠ করা আবশ্যক। যদি ভক্তি সহকারে এই ক্রিয়া করে যেতে পারেন তবে একটা পথ অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
২। মঙ্গলবার সকালে স্নান করে হলুদ বস্ত্র ধারণ করে হলুদ আসনে বসবেন। এবার কাঁচা হলুদ চাকা চাকা করে কেটে ১০৮টি টুকরো করে নিয়ে হলুদ সুতোয় এগুলি মালা আকারে গেঁথে নিয়ে ওই আসনেই পূর্ব দিকে মুখ করে বসে সন্মুখে একটি দেবদারু গন্ধযুক্ত ধূপ জ্বালিয়ে ‘ওঁ বগলামুখ্যৈ বিদ্মহে দ্বিূভূজায়ৈ ধীমহি, তন্নো দেবী প্রযোচয়াৎ’ এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করতে হবে। একবার এই মন্ত্রটি জপ হলে একটি হলুদ আঙুলে করে সরিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ যেভাবে মালা জপ করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে এই ক্রিয়া করণীয়। পুরো মালার সব হলুদ শেষ হলে তবেই ১০৮ বার জপ হবে। জপের শেষে মা বগলামুখীর উদ্দেশ্যে প্রণাম করে তাঁর কাছে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কামণা জানিয়ে তবেই আসন থেকে ওঠা যাবে। এই ক্রিয়া একাধিক্রমে ২৮টি মঙ্গলবার করা প্রয়োজন। এই জপ যদি একাগ্রচিত্তে ভক্তিভরে করা যায় তবে সুফল লাভ করা সম্ভবপর।
৩। যেকোনো মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে এক পাতা মেটে সিঁদুর ও ১০০ গ্রাম লাল বাতাসা ও হনুমৎ স্তোত্রম পাঠ করা প্রয়োজন। এভবে যতবেশি সংখ্যক মঙ্গলবারে এই ক্রিয়া করতে পারা যায় তত দ্রুত ফল লাভ হয় ও গ্রহ বিরূপতা প্রশমিত হয়।
_________________________________________________________


