কবিতা – নিষ্কৃতির নিগম

কলমে – পিয়ালী রায় কুণ্ডু

 

হে কবি

আজ এই ২২ শে শ্রাবণে

অশ্রু বারিষ ধারা অঝোরে বহিছে ভূবনে।

প্রকৃতি ও ক্রন্দনরত তোমারই প্রয়াণে ।

তোমার বিয়োগ শুধুই সেই  দিবসের ক্ষণে

চিরস্থায়ী বাঙ্গালীর ‌আবেগে, আপ্রানে।

তুমি চির উদিত রবি…..,

এই ভুবনের দিকভ্রান্ত পথচারীর লক্ষ্য হয়ে

সুনির্দিষ্ট করো জীবনের প্রতিচ্ছবি।

‘তোমার স্মরণে উল্লাসের সুর বাজে আপন মনে,

আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে নিবেদনে।

ঈশ্বরের চরণে উৎসর্গ করেছো তোমার অজস্র রচনা,

অনুকরণে আমি একই অর্থে তোমারে করি অর্চনা।

আমার হৃদয় তোমার আপন হাতে দোলে।

শ্রাবণ গগন ঘিরে একেলা রয়েছি নীড়ে।

তমসা ঘনায় বেদুইন মননে,

চিরন্তন শাশ্বত তুমি মানব হৃদয়ে জেগে আছো সদা শক্তির আলয়ে।

বাইশে শ্রাবণ এক নীরব অনুভবের দিন,

আজ কিছুতেই যায় না মনের ভার,

দিনের আকাশে ছেয়েছে মেঘের অন্ধকার।

তোমার অস্তমিতে শোকের ছায়া ছিল,

বিবর্ণ ছিল পদঘাট প্রান্তর,

থমথমে আকাশ, বাতাস, পাখির কলরব।

‘আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে’,

কষ্ট যখন রুদ্ধ হয় শুধু ঝরে অশ্রুবারি,

রবিকেই আঁকড়ে ধরে বলি, তুমি শুধু আমারই…..।

প্রভাত আলোরে মোর কাঁদায়ে গেলে,

মিলন মালার ডোর ছিঁড়িয়া ফেলে।

তুমি যে কেবলই ছবি নও,

বিরাজ করছো আপামোর বাঙালির মননে,

বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তোমার চরণে।।

 

Loading