নিজস্ব প্রতিনিধি – বিজেপিকে হারাতে ফের বিরোধী ঐক্যের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তবে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে।
গুঞ্জন শোনা যায়, প্রকাশ্যে বিজেপিকে গালি দিলেও বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা থেকে দলের নেতাদের বাঁচাতে কংগ্রেসকে দুর্বল করে গোপনে বিজেপিকেই শক্তিশালী করছে তৃণমূল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, বিজেপি নয়, কংগ্রেসকেই দুর্বল করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়া ও মেঘালয়ে একঝাঁক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার আগরতলায় কংগ্রেসের অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, বিজেপিকে হারানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে অভিষেক কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব বিবৃতি আর সাংবাদিক সম্মেলনেই আটকে রয়েছেন।
অভিষেকের কথার রেশ ধরে সাবেক মহিলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বর্তমানে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, বিজেপিকে হারাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। তাই তৃণমূল নেতারা মমতা ব্যানার্জির আদর্শকে সামনে রেখে লড়াই চালাচ্ছেন।
পাঞ্জাব, রাজস্থান, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে তৃণমূলের সম্ভাবনা থাকলেও বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে কংগ্রেসকে কোনোরকম সমস্যায় ফেলছে না তৃণমূল। একই সঙ্গে তার দাবি, গোটা দেশেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে হিড়িক পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল আর কংগ্রেস নীতি ও আদর্শগতভাবে এক বলেও সুস্মিতা দাবি করেন।
বিজেপি অবশ্য বিরোধী ঐক্য-অনৈক্য নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয়। দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো বিকল্প নেই।