শান্তি রায়চৌধুরী: অনেক আশা ছিলো ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি খরা কাটাবেন বিরাট কোহলি। কিন্তু মুম্বাইয়ের ঘরের ছেলে এজাজ প্যাটেলের স্পিনেই তিনি আউট হলেন শূন্য রানে। শুধু তাই নয় এজাজ প্যাটেল আজ ভারতকে রুখে দিল। প্রথম দিনে যে চারটি উইকেট পড়েছে তার চারটি উইকেটই নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্পিনার এজাজ। তবে তার ঘূর্ণি সামলেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে  দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিনটাতেই ছিল প্রকৃতির বাধা। সারাদিনে খেলা সম্ভব হয়েছে ৭০ ওভার। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে ভারত।

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের কঠিন পরীক্ষা নেওয়া এজাজের জন্ম হয়েছে ভারতের মুম্বাইয়েই। এমনকি নয় বছর পর্যন্ত মুম্বাইয়েই ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অনুশীলনেও সাহায্য করেছেন ক্যারিয়ার পুরোপুরি দাঁড়ানোর আগে। সেই এজাজই এখন হলেন কোহলিদের বিরাট বাধা।

তবে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটির শুরুটা ছিল দারুণ। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শুবমান গিল মিলে যোগ করেন ৮০ রান। ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে ছয় রান আগে এজাজের বলে আউটসাইড এজ হয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান শুবমান। সেখানেই শুরু ভারতের পতনের।

এক ওভার পর শূন্য রানে আউট হন চেতেশ্বর পুজারা। তার দেখাদেখি কোহলিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে কোহলির লেগ বিফোর আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের জায়গা ছিল অনেক। শেষ পর্যন্ত থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। ফলে রানের খাতা খোলা হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের।

চোখের পলকে বিনা উইকেটে ৮০ থেকে ৩ উইকেটে ৮০ রানের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন মায়াঙ্ক। এ দুজনের জুটিতে আসে ৮০ রান। যেখানে শ্রেয়াসের অবদান মাত্র ১৮ রান। এজাজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে আউট হন শ্রেয়াস।

এরপর দিনের বাকি ২২.২ ওভারে আর বিপদ ঘটতে দেননি ঋদ্ধিমান সাহা ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ব্যক্তিগত চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে উদ্দাম উদযাপনে মাতেন মায়াঙ্ক। দিনের খেলা শেষে ১৪ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১২০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ঋদ্ধিমান ৫৩ বল খেলে করেছেন ২৫ রান।

Loading