নিজস্ব প্রতিনিধি – ভুলে যাওয়া মানেই ডিমেনশিয়া নয়। ডিমেনশিয়া হলো কিছু উপসর্গের সমন্বয়। মস্তিষ্কের কোষ মরে গেলে সাধারণভাবে মানুষ মানসিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। স্মৃতিশক্তিহীনতা হলো এর প্রধান শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য। তবে স্মৃতিশক্তিহীনতা অনেক কারণে হতে পারে।
আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন রকম কোষ বিভিন্ন কাজ করে। যেসব কাজে নিয়োজিত কোষ মরে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেসব কাজ স্বাভাবিকভাবে মস্তিষ্ক করতে পারে না। যেমন: নড়াচড়া, বিচারক্ষমতা, মনে রাখার মতো কাজ মস্তিষ্ক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় করতে পারে না, যদি সেই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
কী করে বুঝবেন:
মনে রাখতে না-পারাটা যদিও ডিমেনশিয়া রোগের শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য, তবুও অন্য উপসর্গ থাকতে হবে। যেমন: যোগাযোগ ও ভাষার ব্যবহারে অস্বাভাবিকতা, মনঃসংযোগ করতে না পারা, যৌক্তিক বিচারবোধ হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি। উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। একবার মস্তিষ্কের কোষ মারা গেলে তা স্থায়ী হয়।
তেমন কোনো একক টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করা যায় না। রোগের ইতিহাস, অন্যান্য রোগ আলাদাকরণ, প্রতিদিনের কাজ পর্যবেক্ষণ করে ডিমেনশিয়া শনাক্ত করা হয়। সেই অর্থে এর চিকিৎসা নেই বলে উপসর্গ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
সচেতনতা প্রয়োজন;
আপনার বয়স ৩০ হলে নিয়ম করে কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিদিনই হালকা ব্যায়াম করুন।
সুষম খাবার গ্রহণ করুন। সবুজ শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ, ফল, বাদাম আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
কর্মক্ষমতা বাড়াতে
হাঁটা: প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।
স্ট্রেচিং: দিনে অন্তত এক বার হাত, পা ও শরীরের স্ট্রেচিং করতে হবে। যেমন, পায়ের গোড়ালির ওপর দাঁড়ালে পায়ের পেছনের মাংসপেশির স্ট্রেচিং হয়।
স্কোয়াটিং: হাঁটুর ওপর ভর করে অর্ধবসা হলো স্কোয়াটিং। প্রথমে একটি চেয়ার নিয়ে বসুন। হাঁটুতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ান। এরপর চেয়ার সরিয়ে অর্ধবসা অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থেকে আবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। প্রতিটি ব্যায়াম ১০ বার করে দিনে অন্তত এক বার করতে পারেন।