কবিতা – মধুপুরের মুকুন্দ
কলমে – বিমল রাণা (কুরকুট)
টানা দশ ঘণ্টা ট্রেনে যাত্রা করে
আধো ঘুমে আছি আছন্ন।
এক অর্ধ নগ্ন ভিক্ষারি,
চাইছে সবার কাছে অন্ন।
মলিন বেশ রুক্ষ কেশ
বাটি হাতে দন্ডায়মান।
রূঢ় ভাষায় বলছে সবাই,
যা দুর হ বেইমানা।
নয়ন মেলে দেখলাম যখন
আরে এতো মধু পুরের মুকুন্দ।
এক পলকেই চিনতে পেরেছি,
কারণ তার একটি চোখ ছিল অন্ধ।
প্রতি বাদ করে উঠলাম আমি।
এই,,,খবরদার কেউ বলবেন নাএমন,
জেনে না জেনে উচিত কী বলা।
এই পৃথিবীতে আপনারা মানুষ কেমন।
জানলে আপনারা অবাক হবেন।
এঁনার নেপথ্যের কাহিনী।
একদা তিনি ছিলেন বিত্তশালী।
কাল স্রোতে ডুবালো এক দ্রাক্ষানী।
মানবতার খাতিরে যদি
হাতে অল্প দেন তুলে।
কত যে ফালতু করছেন খরচ,
ইনাকে দিলে কি পড়বে জলে।
এক চোখ কেনো অন্ধ হয়েছে জানেন?
দ্রাক্ষানীর প্রেমে ছিল নিমজ্জিত।
ধোঁকা দিল শেষে সর্বগ্ৰাস করে,
তাকে দেখতে না আর চায় তো।
গভীর বেদনায় তুলে দিল তাই,
দুটির মধ্যে একটি নয়ন।
পূর্ণ ভগ্ন হৃদয় টাকে লয়ে,
আজও করে চলেছেন বহন।
জ্ঞাত হলেন আপনারা নিশ্চয়ই এবার,
আপনারা যতই হোন না কুল শীল।
নিযতির কাছে কখন যে নত হতে হবে,
এ কথা বলা বড়ো মুশকিল।